এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উপনির্বাচনে নাকি প্রার্থী পাচ্ছেন না বিজেপি, জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

উপনির্বাচনে নাকি প্রার্থী পাচ্ছেন না বিজেপি, জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

বাংলায় তৃণমূলের ঘর ভেঙ্গে তাদের একসময়ের অঘোষিত দুনম্বর নেতা মুকুল রায়কে সদ্য দলে নিয়েছে বিজেপি। আর তারপরে মুকুল রায় তো বটেই বিজেপির বিভিন্ন শীর্ষনেতার বক্তব্য খুব তারাতারিই পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের পরিবর্তন হতে চলেছে। রাজ্যজুড়ে মানুষ বর্তমান সরকারের উপর বিতৃষ্ণ আর তাই বাংলাজুড়ে বইবে এবার গেরুয়া ঝড়। কিন্তু বাস্তবে বাংলায় আসন্ন উপনির্বাচনে নাকি প্রার্থীই পাচ্ছে না বিজেপি বলে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।কোলকাতার এক ওয়েব পোর্টালের খবর অনুযায়ী বঙ্গ বিজেপির হেভি ওয়েট নেতা-নেত্রীরা নাকি উপনির্বাচনে নিজেদের নাম প্রার্থী হিসাবে দিতে রাজি নন। তাই রাজ্যের আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে সমস্যায় পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। যদিও ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বেশ ভালো ফল করেছিল বিজেপি, ছিনিয়ে নেয় দু-দুটি লোকসভা আসন, ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনেও এক থেকে তিনে পৌঁছে যায় বিজেপি। কিন্তু অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী পরাস্তও হন, বিশেষ করে নির্বাচনের আগেই নারদ কেলেঙ্কারি সামনে আসা বা পোস্তা উড়ালপুল বিপর্যয়ের পরেও। আর তাই কি প্রার্থী হতে চাইছেন না হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা?
সামনেই দু’টি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। নোয়াপাড়া ও সবং বিধানসভা, এবং উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন, দিন ঘোষণা হবে যেকোনোদিন।নোয়াপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক মধুসূদন ঘোষ প্রয়াত হওয়ায় সেই আসনটি খালি হয়েছে আর সবং কেন্দ্রের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ায় আবার সবং কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। আর উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুলতান আহমেদের প্রয়াত হওয়ায় সেখানেও উপনির্বাচন হবে। স্থানীয় নেতৃত্ব নাকি উপনির্বাচনে এক লড়াকু মহিলা নেত্রীকে, যিনি গত বিধানসভা নির্বাচনেও দাপটের সঙ্গে লড়েছিলেন, প্রস্তাব দিয়েছিলো কিন্তু তিনি রাজি হননি।তিনি নাকি মহিলা মোর্চার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারনে লড়তে রাজি নন। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার আরেক দাপুটে নেতাকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল উপনির্বাচনে লড়াই করার জন্য, কিন্তু তিনিও রাজি হননি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারো পরাজয় মানে দলীয় রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়া, তাছাড়া উপনির্বাচনে সাধারণত শাসকদলই জিতে থাকে – এই যুক্তিতে এখনই নির্বাচনে নড়তে রাজি হন নি বঙ্গ বিজেপির ওই পোড়খাওয়া নেতা। যদিও ওই পোর্টালে এই খবরের সত্যতা বা সূত্র হিসাবে কিছু বলা হয় নি, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!