এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > লোকসভায় জয় এলেও সংগঠন মজবুত নয়! বিধানসভায় জয় পেতে নিচুতলায় বড়সড় রদবদলের ভাবনায় বিজেপি

লোকসভায় জয় এলেও সংগঠন মজবুত নয়! বিধানসভায় জয় পেতে নিচুতলায় বড়সড় রদবদলের ভাবনায় বিজেপি

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ভালো ফল করেছে, প্রবল বিজেপি বিরোধী নেতারাও এই কথা এক বাক্যে স্বীকার করেন। কিন্তু বিজেপি লোকসভায় বাংলা থেকে যে 18 টি আসন পেয়েছে, তার পেছনে যে তাদের সাংগঠনিক ক্যারিশমা অপেক্ষা মোদিজীর ক্যারিশমাই বেশি, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় সকলেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথাতেও এমনটাই উঠে এসেছে। কিন্তু মোদিজীর মুখটাকে সামনে দেখিয়ে আর কি নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে!

সমালোচক মহলের একাংশ যখন এই প্রশ্ন করতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই দীর্ঘদিন পর মন্ডল এবং বুথ কমিটি গঠনে নজর দিতে শুরু করল গেরুয়া শিবির। বস্তুত, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে সেখানে জয়লাভ করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু বিজেপির প্রার্থী সেখানে জয়লাভ করলেও, এর পেছনে যে বিজেপির সাংগঠনিক কারিশমা নেই, তা অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছেন সকলেই।

দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থীর জয়লাভের পেছনে রাজ্যজুড়ে বিজেপি হাওয়াই কাজ করেছে। আর সেই হাওয়া যে আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত থাকবে, এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না বিজেপি নেতারা। তাইতো সেদিক থেকে এবার নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা। সূত্রের খবর, প্রায় পাঁচ বছর পর কোচবিহার জেলায় বিজেপি তাদের বুথ এবং মন্ডল কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই বুথ কমিটি গঠনের কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে চলতি মাসের মধ্যেই মন্ডল কমিটি গঠনের কাজ শেষ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে তারা। আর পাঁচ বছর পর বিজেপির সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এহেন উদ্যোগ দেখে অনেকেই নানা কথা বলতে শুরু করেছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, লোকসভায় কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পরাজিত হওয়ার পর থেকেই তারা আরও বেশি করে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই দিদিকে বলো কর্মসূচি থেকে শুরু করে নানা জনসংযোগমূলক কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছে। তবে তাদের সংগঠন আগে থেকেই শক্তিশালী। তাই সেইভাবে সংগঠনের প্রতি মনোযোগী হওয়া অপেক্ষা তারা বেশি করে মানুষের দুয়ারে যেতে শুরু করেছে। আর বিজেপি লোকসভায় মানুষের মন জয় করলেও সংগঠন যে জয়ের পেছনে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করবে ভবিষ্যতে, তা অনুধাবন করে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে তারা সেই সংগঠনেই নজর দিচ্ছে।

আর বিজেপির এই বিলম্বিত বোধোদয় দেখে বিজেপি ঘনিষ্ঠ মহল কিছুটা হলেও আশা দেখতে শুরু করেছেন। একাংশ বলছেন, মানুষের আশার কোনো শেষ নেই। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র বিজেপি দখল করার পর এখন আগামী বিধানসভা এবং পৌরসভা নির্বাচনে এই জেলায় নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করার গেরুয়া শিবিরের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাই সেদিক থেকে তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিকে হারিয়ে দিতে সাংগঠনিক জোর দরকার বিজেপির।

যার জন্য এখন তারা কিছুটা হলেও কাজের কাজ করছে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিন এই বুথ কমিটি ও মন্ডল কমিটি পুনর্গঠনের ব্যাপারে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, “আমরা জেলায় বুথ ও মন্ডল কমিটি পুনর্গঠন করেছি। ইতিমধ্যেই জেলায় বুথ কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন মন্ডল কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজ চলছে। আশা করছি, নভেম্বর মাসের মধ্যেই মন্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করতে পারব।”

তবে জেলা বিজেপির সভানেত্রী একথা বললেও এখন সংগঠন গোছাতে তারা কতটা সফলতা পায়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। কেননা, ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের মধ্যে আদি বনাম নব্য লড়াই স্পষ্ট। গোটা রাজ্য জুড়েই চলা সাংগঠনিক নির্বাচনে, তীব্র দ্বন্দ্বের জেরে এক-তৃতীয়াংশ আসনে মন্ডল সভাপতি নির্বাচন করা সম্ভব হয়ে ওঠে নি। বাংলায় বিজেপির পালে হাওয়া লাগাই অনেকেই বর্তমানে পদ-প্রত্যাশী। তাই, সেই দ্বন্দ্ব থামিয়ে গেরুয়া শিবির সংগঠনকে কতটা মজবুত করতে পারে, সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে বিজেপি সমর্থকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!