জিএসটি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের কলকাতা জাতীয় রাজ্য July 1, 2018 দেশ ও রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত পদক্ষেপে তারা যে সবসময় পাশে আছেন তা আগেভাগেই স্পষ্ট করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রথম থেকে কেন্দ্রের জিএসটির পক্ষে থাকলেও তড়িঘড়ি বিনা পরিকাঠামোতেই এ ধরনের প্রকল্প চালু করায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চরিয়েছিলেন তিনি। আর শনিবার সেই জিএসটি চালুর বর্ষপূর্তির দিনে নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার হতে দেখা গেল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে। এদিন তিনি বলেন,” জিএসটিতে বৃদ্ধি পেয়েছে হাওলা লেনদেন।” অর্থমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, 2014-15 সালে এই রাজ্যের জিডিপি যেখানে ছিল 7.7 শতাংশ, ঠিক গত আর্থিক বছরে ভারতীয় বিজার থেকে কোটি কোটি টাকার হদিশ না পাওয়ায় সেই জিডিপি কমে দাড়িয়েছে 6.6 শতাংশে। তিন বছর আগে শিল্পের ক্ষেত্রে যে ঋন 9 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল গত বছর সেটাই একলাফে নেমে এসেছে 5 শতাংশে বলে অভিযোগ অমিত মিত্রের। em>আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। শুধু এখানেই শেষ নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য তুলে ধরে কালো টাকা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরই মোদী সকা দেশর প্রতিটা মানুষকে জনধন প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলান। এদিন সে প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ” বিশ্বে অকেজো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকার হার 25 শতাংশ। অথচ এখানে সেই হার 48 শতাংশ। অর্ধেক অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেনই নেই! তাহলে তা আদতে কার উপকারে লাগল?” এদিন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তার বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন যে জিএসটি সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন অর্থনৈতিক বাধাদানের মত প্রকল্পে এ রাজ্যের সরকার তাঁদের রাজস্ব খাতে নিজেদের সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে। অনেকে মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে জিএসটির বর্ষপূর্তির দিনে সেই জিএসটি ইস্যুতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকরের চরম সমালোচনা করে সোশাল নেটওয়াকিং সাইটকে হাতিয়ার করে রাজ্যের উন্নয়নের কথাই তুলে ধরলেন তৃনমূল সরকারের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। আপনার মতামত জানান -