এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দলীয় কর্মীরা “কাটমানি” খাচ্ছে জানেন মমতা, “আবার করলে” পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারির হুমকি

দলীয় কর্মীরা “কাটমানি” খাচ্ছে জানেন মমতা, “আবার করলে” পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারির হুমকি


রাজনীতিতে এ যেন নতুন খরগোশ দৌড়। খরগোশ জানে, তার আশেপাশে লোক ভর্তি। তবু সে নিজের চোখ বন্ধ করে দৌড়াচ্ছে। আর ভাবছে তাকে কেউ দেখতে পাচ্ছে না। আর এরকমই এক নিদান শোনা গেল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এদিন হুগলি জেলার বিপর্যয় পর্যালোচনার জন্য আসরে নামেন তৃণমূল নেত্রী। জেলা নেতৃত্বদেরকে তাদের বিফলতার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নবাণের সম্মুখীন হতে হয়। স্বভাবতই প্রশ্নবাণের ঠেলায় পড়ে একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন হুগলি জেলার নেতৃত্ব।

আর এর মাঝেই কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে নেত্রী বলেন, “তোমরা সংগঠন করছো না।” মানুষের সঙ্গে জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে সংগঠনের নেতৃত্ব পর্যন্ত নিবিড় যোগাযোগ হারিয়েছে। প্রায় প্রত্যেকেই কাজেই যে তিনি ক্ষুব্ধ তাও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, এই সিঙ্গুরের মাটি থেকেই বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান এবং গোটা বাংলা জুড়েই পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লোকসভা এবং বিধানসভা থেকে শুরু করে পৌরসভা পর্যন্ত বিজয়বৃত্ত সম্পন্ন হয়েছিল, সেই বিজয় এবার ভাঙতে শুরু করেছে এই সিঙ্গুরের মাটি থেকেই।

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে নেত্রী যে স্বাভাবিকভাবেই তার ক্ষোভ উগরে দেবেন, এটা বলাই বাহুল্য। সিঙ্গুর নিয়ে, হুগলি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক লড়াইয়ের ইতিহাস কিছু কম নয়। সর্বকালের সেরা আন্দোলন এবং অনশন তৃনমূল নেত্রী এই সিঙ্গুর ইস্যুতেই করেছিলেন। তাই এই পরাজয় ভাবাতে শুরু করেছে দলের প্রান্তিক কর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্বকেও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল ভবনে হুগলি জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “গীতাঞ্জলি ঘর থেকে শুরু করে সমব্যথী প্রকল্প অধিকার প্রকল্প থেকে শুরু করে নিজ গৃহ নিজ ভূমি – কোন কাজেই কাটমানি খেতে বাকি রাখছেন না জেলা নেতৃত্ব।” আর এরকম একটা পরিস্থিতিতে তাদের থেকে যে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবেন, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ঘটনাতেই আপাদমস্তক জর্জরিত জেলা নেতৃত্বকে এদিন তুলোধোনা করেন তৃনমূল নেত্রী।

হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, মন্ত্রী অসীমা পাত্র, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সকলকে কড়া বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তোমরা যদি এখনও সংযত না হও, এরপরে চুরির অভিযোগে তোমাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভায় হুগলি জেলার সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দেন। একেবারে অঞ্চল স্তর থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত দলের পুরোনো কর্মীদেরকে তুলে আনার কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী।

পাশাপাশি দলের বিপর্যয়ের জন্য বেচারাম মান্না এবং রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের গন্ডগোলের কথা তুলে ধরে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল নেত্রী হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছেন সততার প্রতীকে মুড়িয়ে তার ছবি ফ্লেক্স, ফেস্টুনের মাধ্যমে জেলা নেতৃত্ব ব্যবহার করলেও তলায় তলায় সেই জেলার নেতারাই সাধারণ মানুষের মাথায় বাড়ি দিচ্ছেন। যা তার রাজনৈতিক কবরকে আরও বেশি করে খুড়তে শুরু করেছে। আর তাইতো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার মাঠে নেমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে জেলা নেতাদের বকুনি দিলেন তৃনমূলের দিদিমণি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!