এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এবার করোনা সারাতে ব্যবহৃত হবে ঘোড়ার রক্ত? নতুন গবেষণা ঘিরে চূড়ান্ত উৎসাহ চিকিৎসা মহলে!

এবার করোনা সারাতে ব্যবহৃত হবে ঘোড়ার রক্ত? নতুন গবেষণা ঘিরে চূড়ান্ত উৎসাহ চিকিৎসা মহলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বেশ কিছুদিন আগে গবেষণায় অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি শুধুমাত্র মানুষের শরীরেই নয়, প্রাণীদেহেও ভালো কাজ করেছে বলেই জানা গেছিল। সেক্ষেত্রে খবর পাওয়া যায় যে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় অনেক প্রাণীর দেহেও এর সংক্রমণের কথা জানা যায়। প্রথমে কেবল মানুষ আক্রান্ত হলেও পরে যে প্রাণীরাও আক্রান্ত হতে পারে সেই খবরে বেশ উত্তেজনা তৈরী হয়েছিল সেইসময়। তাই পরীক্ষার্থে মোট ২০টি রেসাস বাঁদরকে ৪ ভাগে ভাগ করে এই টিকার একাধিক ডোজ দেওয়া হয়। আর সেই ট্রায়ালই সফল হয়। জানা যায়, এই টিকা নেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রাণীগুলির শরীরে করোনার প্রতিরোধক হিসেবে ইমিউনোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিজেন তৈরিতেও সাফল্যে এসেছে। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।

তবে এবার সেই পরীক্ষার থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন একটি পরীক্ষা করার কথা বিজ্ঞানীরা ভাবছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে যে, দেশের ৩৯টি হাসপাতালে ৪৬৪ জন করোনা রোগীর শরীরে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এই চিকিৎসায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে তেমন কোনো লাভ হয়নি। তাই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সেভাবে সফল হয়নি এই প্লাজমা থেরাপি। তাই প্লাজমা থেরাপি সার্বিকভাবে সফল না হলেও, এবার কোভিড-১৯ ভাইরাসের মোকাবিলায় পশুর রক্তের অ্যান্টিবডি নিয়েই কাজ করতে চাইছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ তথা আইসিএমআর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি তারা করোনা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় পশুর রক্তের অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করার জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে বলে জানা গেছে। বস্তুত, পশুর শরীর অথবা রক্তের সেরামে অবস্থিত এই অ্যান্টিবডিকে বলা হয় অ্যান্টিসেরা। তবে আপাতত ঘোড়ার শরীর থেকে প্রাপ্ত এই অ্যান্টিবডি দিয়েই ট্রায়াল করা হবে বলে জানা গেছে। যেহেতু করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে প্রাপ্ত প্লাজমাকেও একইভাবে ব্যবহার করা গেলেও এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে এই অ্যান্টিবডির গঠন ও কার্যকারিতা বদলে যায়। তাই কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপিকে ভরসাযোগ্য মনে করা যায় না।

তাই আপাতত ঘোড়ার শরীর থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডি দিয়েই ট্রায়াল চালাতে চায় আইসিএমআর। আর এই গবেষণায় আইসিএমআরের সঙ্গে কাজ করছে হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োলজিক্যাল। এই দুই সংস্থা যৌথভাবে উচ্চমানের বিশুদ্ধ অ্যান্টিসেরা প্রস্তুত করতে সচেষ্ট হয়েছে বলেই জানা গেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের হয়ে কোভিড-১৯ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অ্যান্টিবডি প্রয়োগের চিকিৎসরা কথাই উঠে এসেছে আইসিএমআরের ডিরেক্টরের মুখে। এদিন তিনি জানান, এখন ঘোড়ার সেরাম নিয়ে গবেষণা চলছে। তাঁরা একটা অ্যাম্পিউলে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে রেখে তা রোগীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেখতে চান। তবে এটা প্রথম নয়, এর আগেও এই সেরাম নানা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে যেমন র‌্যাবিস, হেপাটাইটিস বি, টিটেনাস, ডিপথেরিয়া, ভ্যাকসিনা ভাইরাস ইত্যাদি দূর করতে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!