এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট থেকে নবান্নের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক – রথ নিয়ে একের পর এক সদর্থক পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের

সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট থেকে নবান্নের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক – রথ নিয়ে একের পর এক সদর্থক পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বাংলাকে পাখির চোখ করা বিজেপি নেতৃত্ব প্রথম থেকেই রথযাত্রার মধ্যে দিয়ে এই বাংলার শাসক দল তৃণমূলকে চাপে রাখতে চেয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সেই বিজেপির রথযাত্রা এখন প্রায় বিশবাঁও জলে।

তবে সিঙ্গল বেঞ্চ বিজেপির এই রথযাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তার রায় দিলেও, গত শুক্রবার এই রথ যাত্রার ব্যাপারে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আর ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে এহেন সংকেত পেয়েই গতকাল নবান্নে গিয়ে রাজ্য সরকারকে এই ব্যাপারে এক আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়ে সরকারকেই একটি চিঠি দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার।

সূত্রের খবর, গতকাল দুপুর থেকেই নবান্নের চত্বরে থাকা পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যে জল্পনা ছড়ায় যে, এখানে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হতে পারেন বিজেপি নেতারা। আর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যাতে কোনরূপ ঘাটতি না থাকে সেজন্য নবান্নের মূল গেট বন্ধ করে রাখা হয়।

এদিকে এদিন প্রথমে বিজেপির পক্ষ থেকে এক আইনজীবী নবান্নে এলে সেখানকার পুলিশকর্তারা তাঁকে জানিয়ে দেন যে, শনিবার ছুটি – তাই সেই কারণে এই রিসিভিং সেকশন বন্ধ রয়েছে। আর এরপরই বেলা 3 টে 35 মিনিট নাগাদ নবান্নে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। আরও জানা যায়, এদিন এই দুই বিজেপি নেতাকে পুলিশ নবান্নের পশ্চিম দিকের ভিজিটর গেট দিয়ে ভিজিটর রূমে নিয়ে যান। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রিসিভিং সেকশন বন্ধ। তাই বিজেপি নেতারা যেন তাঁদের কাছেই এই চিঠিটি জমা দেন।

পরবর্তীতে বিজেপি নেতাদের এই চিঠিটি গ্রহণ করেন নবান্নে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তা সমর বসু। কিন্তু বিজেপির এই চিঠিতে পদ্ধতিগত ত্রুটি, বিচ্যুতি থাকায় রাজ্যের মুখ্যসচিব দপ্তর তা গ্রহণ করেননি। তবে ডিজি কন্ট্রোল থেকে তা রিসিভ করা হয় বলে খবর। আর এই চিঠির রিসিভ কপি হাতে পেয়েই ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বেলা চারটে কুড়ি মিনিট নাগাদ নবান্ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মুকুল রায় বলেন, “গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা” করার জন্য আমরা রাজ্যকে 18 টি চিঠি দিলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো উত্তর পাইনি। কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ 12 ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সাথে আমাদের আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে। তাই আমরা রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে গেলাম যে, এক ঘন্টার নোটিশ দিলেই হবে। আমরা আলোচনায় প্রস্তুত আছি। চলে আসব।”

কিন্তু তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে আসার পর এই প্রথম নবান্নে দরজায় এসে ঠিক কী রকম অনুভুতি হচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায়ের কৌশলী মন্তব্য, “কিছুই মনে হচ্ছে না। আমরা নবান্ন দখল করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।” এদিকে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে হাতিয়ার করে যখন রাজ্যকে আলোচনায় বসার জন্য চাপ দিচ্ছে বিজেপি, ঠিক তখনই রাজ্য এই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলে তার আগাম প্রস্তুতি যাতে নিয়ে রাখতে পারে বিজেপি এদিন তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেল।

সূত্রের খবর, এদিন সুপ্রিম কোর্টে একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করল বিজেপিও। ফলে রাজ্য সরকার যদিও বা সুপ্রিম কোর্টে এই ব্যাপারে দরবার করে, তাহলে সুপ্রিম কোর্টকেও এই রায় দেওয়ার আগে বিজেপির বক্তব্যও শুনতে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির এই রথযাত্রা আদৌ কবে হবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত নয় কেউই। কিন্তু বিনা যুদ্ধে যে রাজ্যের শাসক দলকে কিঞ্চিৎ জায়গা ছাড়বে না তা বিজেপি নেতাদের গতিপথ দেখেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!