প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত দাবি করা হয়, রাজ্যে গণতন্ত্র অটুট রয়েছে। এমনকি এই গণতান্ত্রিক পরিবেশে সকলে মিটিং মিছিল করতে পারছে বলেও বড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একদল থেকে অন্য দলের নেতাদের যখন দেখে নেওয়ার কথা বলেন সেই তৃনমূল নেতারা, যখন নিঃসন্দেহে তৃণমূলের ভাবমূর্তি প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পড়ে।

এবার বিজেপির লোক দেখলেই ডান্ডা মেরে তাড়ানোর নিদান দিলেন দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র পরিষদ তৃণমূলের অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই তিনি যখন এই বক্তব্য রাখছেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। আর তার সামনে এভাবে বিরোধী দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেতার হুমকি নিঃসন্দেহে শাসক দলকে অনেকটাই বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন দুর্গাপুরের পলাশডিহি ময়দানের সভা মঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “বিজেপির লোক দেখলেই ডান্ডা মেরে তাড়ান। তারপর আমরা বুঝে নেব।” স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য এখন নিঃসন্দেহে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। একাংশ বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত শোনা যায় শান্তির কথা। কিন্তু এই তৃণমূল নেতা যেভাবে নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাদের ডান্ডা মারার জন্য নিজের দলের কর্মীদের উৎসাহ দিলেন, তা নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বড় আঘাত হানল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। কখনো পুলিশকে বোম মারা, আবার কখনও বা চরাম চরাম ঢাকের কথা বলে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন বলে দাবি একাংশের। আর এবার নির্বাচনের আগে যখন বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে, তখন তৃণমূল নেতা অমিতাভ বন্দোপাধ্যায়ের এই ধরনের উক্তি বিজেপির হাতে বড় তৃণমূল বিরোধীতার অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিরোধীদের দাবি নির্বাচন আসতে এখনও বেশ কয়েক মাস দেরি আছে কিন্তু তার আগেই বিজেপির ভয় ভীতু তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতার বক্তব্য থেকে অন্তত তা একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলে দাবি বিশ্লেষকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলের ভাবমূর্তি গ্রহণযোগ্য করে তুলতে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।