অভিজিৎ গাঙ্গুলীকে নিয়েও চরম মিথ্যাচার, মমতার বক্তব্যে প্রবল কটাক্ষ বিজেপির! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 7, 2024March 7, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ত মিথ্যা লগ্নে জন্ম। বিরোধীরা অন্তত তেমনটাই বলেন। কিন্তু কেন তারা এই কথা বলে, আজকে আবার তা প্রমাণিত হয়ে গেল। বিচারপতির চেয়ারে থাকা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেওয়ার পরেই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হবেন। আজ তিনি বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই যখন কোনো বিচারপতি ইস্তফা পাঠিয়ে দেন, তখন আর তিনি চেয়ারে থাকেন না। তখন তিনি রাজনীতির কথা বা তার ব্যক্তিগত মতামত বলতেই পারেন। সেটাই অভিজিৎ গাঙ্গুলি করেছেন। কিন্তু আজ তাকে নিয়েও এক চরম মিথ্যাচার করে বসলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত বিরোধীদের পক্ষ থেকে তেমনটাই বলা হচ্ছে। কিন্তু কি এমন বলেছেন তিনি? কি কারণে বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীকে এইভাবে আক্রমণ করছে? প্রসঙ্গত, আজ নারী দিবসের সমর্থনে মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি প্রথম কথা বুঝিয়ে দেন যে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই ইস্তফা দেওয়ার পর বিজেপিতে যোগদানে তিনি যথেষ্ট চাপে রয়েছেন। তাকে আগামী দিনে এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রবল ভাবে বেগ দিতে পারেন। যাই হোক, সেটা পরের কথা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এদিন একটি মিথ্যাচার করেছেন বলেও অভিযোগ করছে বিরোধীরা। তিনি নিজের বক্তব্যে বলেছেন যে, বিচারের চেয়ারে বসে বিজেপিতে যোগদান করার কথা বলছে। কিন্তু একাংশ বলছেন যে, এটা একেবারেই ভুল কথা। কারণ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং তারপরেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি বিজেপিতে যোগদান করবেন। কখনই ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেওয়ার আগে তিনি কোন দলে যোগদান করছেন, সেই রকম কিছু ঘোষণা করেননি। স্বাভাবিক ভাবেই একজন প্রশাসনিক প্রধান হয়ে বা একটি রাজনৈতিক দলের মাথা হয়ে কি করে মুখ্যমন্ত্রী এত মিথ্যাচার করতে পারেন! সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিচার ব্যবস্থায় নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি নিজের চাকরি থাকা সত্ত্বেও সেই জীবন থেকে অবসর নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তাকে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে হবে, মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে। সেই কারণে তিনি বিচারপতির চেয়ার থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতির ময়দানে এসেছেন। আর এটাই হয়ত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মনের মধ্যে ভয়ের কারণ হয়ে গিয়েছে। তিনি বুঝতে পারছেন যে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ময়দানে পদার্পণ এবং বিজেপির হয়ে লড়াই করা তার দলের কাছে কতটা চাপের হতে পারে। বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঠোঁটকাটা বক্তব্য এবং এই রাজ্যের শাসক দলকে একের পর এক আক্রমণ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এই রাজ্যে চোখে চোখ রেখে বিরোধিতা করা লোকের সংখ্যা বাড়ছে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর চাপে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল দিকভ্রষ্ট, তখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। যার ফলে এখন প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়েও এক মিথ্যাচার করে বসলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তবে প্রবল ভয় এবং আগামী দিনে রাজনৈতিক ভাবে হেরে যাওয়ার কারণেই এইসব মন্তব্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -