এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূল বিদায়ই একমাত্র লক্ষ্য, পদ্মে যোগ দিয়েই হুঙ্কার অভিজিতের!

তৃণমূল বিদায়ই একমাত্র লক্ষ্য, পদ্মে যোগ দিয়েই হুঙ্কার অভিজিতের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে জল্পনাকে সত্যি করে আজ বিজেপিতে যুক্ত হলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মুহূর্তটা দেখবার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সমস্ত পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রপ্রেমী সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। কারণ অভিজিৎবাবুর মত একজন বিশিষ্ট মানুষ, তিনি চাকরি জীবন থেকে বহু মাস আগে অবসর নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিলেন একটাই কারণে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গকে তিনি ভালোবাসেন। বাংলার যে পরিস্থিতি তৃণমূল কংগ্রেস করে রেখেছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করে সুশাসন আনতে হবে। সেই কারণে বিচারপতির চেয়ারে থেকে যেমন বেকার যুবকদের কাছে ভগবান হয়ে উঠেছিলেন, ঠিক তেমনই আজ বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের জনমত গিয়েছে, তা বুঝিয়ে দিয়ে ভবিষ্যতে তার এবং বিজেপির লক্ষ্য কি, তা স্পষ্ট করলেন প্রাক্তন বিচারপতি। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আবার প্রমাণিত হলো যে, এই রাজ্যে বিজেপি একমাত্র বিরোধী দল যে, তৃণমূলকে সরাতে পারে। আজ বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পরেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত, বিচারপতির চেয়ারে থেকে তিনি অনেক মাইনে হয়ত পেতে পারতেন। কিন্তু নিজের বিবেককে বিসর্জন দিয়ে আর এই প্রফেশনে না থেকে তিনি একটু ভিন্ন জগৎ বেছে নিয়েছেন। সেই কারণে বিচার ব্যবস্থা থেকে অব্যাহতি নিয়ে ইস্তফা দিয়ে আজ বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিজেপির দপ্তরে তিনি গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে নেওয়ার পরেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রাক্তন এই বিচারপতি বলেন, “রাজ্যে যে সরকার চলছে, যে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার চলছে, তাদেরকে উৎখাত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যাতে ২০২৪ সালে তারা এমন একটা পর্যায়ে চলে যায়, যার ফলে ২০২৬ সালে এই রাজ্যে এই সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব হয়। আমাদের সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।” একাংশ বলছেন, যারা তৃণমূলের সঙ্গে চোখ রেখে লড়াই করতে চান, তারা সকলেই চাইবেন, এই সরকার বিদায় নিক। সেই কারণে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত মানুষও আজকে রাজনীতির ময়দানে আসতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ বাংলাকে যারা ভালোবাসেন, তারা কেউ সহ্য করতে পারছে না বাংলার এই দুঃসময়। সকলেই চাইছেন যে, এই সরকারকে বিদায় না জানালে বাংলায় কোনোমতেই ভালো সময় ফিরবে না। পশ্চিমবঙ্গকে এরা অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। সেই কারণে আজকে বাংলার স্বার্থে, বাঙালির স্বার্থে অভিজিৎ গাঙ্গুলীর মত বিশিষ্ট মানুষও বিজেপিতে যুক্ত হয়ে নিজের অবস্থান এবং লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিয়ে এই তৃণমূলের যন্ত্রণা অনেকটাই বৃদ্ধি করলেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কি দরকার ছিল বলুন তো অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, বিচারপতির চেয়ার ছেড়ে রাজনীতি ময়দানে আসার! তার তো নিজস্ব কোনো ব্যক্তি স্বার্থ নেই। তিনি তো নিজের প্রফেশনে থাকলে হয়ত অনেক বেশি রোজগার করতে পারতেন। কিন্তু তবুও একজন বাঙালি হয়ে, বাংলায় যে অরাজক পরিস্থিতি চলছে, তার থেকে পশ্চিমবঙ্গকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই তিনি বিজেপির সঙ্গে সামিল হয়েছেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, বিজেপি সবার উন্নতি চায়। আর সেই কারণে বাংলাতেও যাতে সেই উন্নতির বিকাশ পৌঁছে যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হলেন। আর শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা যেমন চোখে চোখ রেখে এই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, সেই তালিকাতেই যুক্ত হয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিলেন, একটাই টার্গেট, তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করা। পশ্চিমবঙ্গের যে সর্বনাশ এরা করে দিয়েছে, তার থেকে বাংলাকে রক্ষা করাই তার প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্য। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!