এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে কি মমতার প্রাক্তন সতীর্থ? জল্পনা চরমে!

বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে কি মমতার প্রাক্তন সতীর্থ? জল্পনা চরমে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপিতে দিনকে দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত বছর ডিসেম্বর মাসে অমিত শাহের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন তিনি। তারপর রীতিমতো তৃণমূলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে নিজের কথা রাখতে না পারলেও, নন্দীগ্রামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে শুভেন্দু অধিকারী সাফল্য পেয়েছেন। সেদিক থেকে তার গুরুত্ব যে রাজ্য রাজনীতিতে অপরিসীম, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বর্তমানে তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি না হলেও, গেরুয়া শিবিরের অন্যতম মুখ হয়ে উঠছেন। বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তার লড়াই এবং প্রতিবাদ নয়া মাত্রা যোগ করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি একটি গুঞ্জন তৈরি হয়েছে যে, খুব তাড়াতাড়ি বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে বদল আসতে পারে। যেখানে দিলীপ ঘোষ তার পদ থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন। আর দিলীপবাবু অব্যাহতি নিলে তার জায়গায় কে বসবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। সেদিক থেকে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দেবশ্রী চৌধুরী, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী সহ একাধিক নাম সামনে আসতে শুরু করেছে। তবে এইসব নামের পাশাপাশি এবার জল্পনার পর্যায়ে উঠে এলো রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম।

 

রাজ্য রাজনীতিতে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কার্যত প্রতিমুহূর্তে চাপে ফেলে দিচ্ছেন তিনি, তাতে পরিষদীয় রাজনীতির পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপি তাদের প্রধান মুখ করে দিতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ।বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই বিজেপি নেতা কর্মীদের আরও বেশি করে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে তিনি দিলীপ ঘোষের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে গিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের একটি ঠান্ডা লড়াই তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করছেন একাংশ।

শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যে পশ্চিমবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছেন, তা বলাই যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে ভোকাল টনিক দেওয়া থেকে শুরু করে নীচুতলার নেতা কর্মীদের পাশে থাকার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকেই দলের একাংশ সংগঠনের মাথা হিসেবে চাইছেন। আর সেই কারণেই দিলীপ ঘোষের পরিবর্তে যদি শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে অনেকেই নতুন উদ্যমে সংগঠন করতে পারবেন বলে মনে করছেন একাংশ। যদিও বা এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো বিষয় সামনে আসেনি। বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও এই ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। সবটাই রয়েছে জল্পনার পর্যায়ে। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী দিনকে দিন বিজেপির হয়ে ব্যাটন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছেন, তাতে তার বাংলার সংগঠনের প্রধান মাথা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের ভেতরকার খবর খুব ভালো করেই জানেন। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেস করে এসেছেন তিনি। তাই কিভাবে নিজের প্রাক্তন দলকে চাপে ফেলতে হয়, তা অন্যান্য বিজেপি নেতাদের থেকে বেশি জানা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। আর সেই মতো করেই নিজের ফর্মুলা প্রয়োগ করে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিমুহূর্তে চাপে ফেলে দিচ্ছেন তিনি। তাই তার এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবং আন্দোলনের যে উদ্যমতা, তাকে কাজে লাগাতে চায় ভারতীয় জনতা পার্টি।

সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে বিরোধী দলনেতা থাকলেও, তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রধান মুখ, সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা কর্মীদের কাছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরে যেতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই অন্যান্য বেশকিছু নামের পাশাপাশি গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়ে। তবে এখনও পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী বা রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি‌। তবে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা আগামী দিনে বাস্তব হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!