রানিগঞ্জে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত কারণ কি ? রাজ্য January 7, 2018 রানিগঞ্জে সিপিএমের শিবির বদল শক্তি বৃদ্ধি হল গেরুয়া দলের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধী সিপিএমের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেয়, সেই নিয়েই শাসক দলের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির। স্থানীসুত্রে খবর বিজেপির এই আগ্রাসন সিপিএমের দৌলতে কারণ সিপিএমের বহু কর্মী পঞ্চায়েতে বিজেপির নিশানের তলায় লড়বে, যার দরুণ ইগারা ও নূপূর সহ বহু এলাকায় বিজেপি তাদের প্রচার কর্মসুচী শুরু করে দিয়েছে। স্থানীয় সুত্রের আরও খবর রানিগঞ্জ ব্লকের ৬টি পঞ্চায়েতের ৫টিই আছে শাসক দলের যার মধ্যে আছে বল্লভপুর, ইগারা, তিরাট, জেমারি এবং রতিবাটি পঞ্চায়েত। কেবল মাত্র আমরাসোতা পঞ্চায়েতটি এখনও সিপিএমের দখলে। বাসিন্দাদের আনেকেই জানান রানিঞ্জের এই গ্রামীন এলাকা একসময় সিপিএমের দুর্গ হিসাবে পরিচিত ছিল। এখনকার পঞ্চায়েত গুলিতে আগে বিরোধীরা প্রার্থী দিতেই পারত না। কিন্তু রাজ্যে পালা বদলের সঙ্গে সঙ্গে এখানেও তাদের সংগঠন দুর্বল হয়ে যায়। তবে সিপিএমের দাবী যে তাঁদর সংগঠন সম্পুর্ণ হারিয়ে যায়নি গত বিধানসভার আগে পর্যন্তও তারা বিভিন্ন কর্মসুচি নিয়েছে এমই দাবী তাদের।কিন্তু এরপরই ধিরে ধিরে তিরাট, বল্লভপুরের সিপিএম কর্মীরা বিজেপির ছত্রছায়ায় আসা শুরু করলে বিজেপির শক্তি বাড়তে থাকে। স্থানীয়দের অনেকরই দাবী সিপিএম ছাড়াও তৃণমূলের বেশ অনেকে দলবদল করেছে। বিজেপি অবশ্য জানিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা ৬টি পঞ্চায়েতের সবকটি আসনেই প্রার্থী দেবে তার জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে দল। পাশাপাশি তৃণমূল এই দল বদল নিয়ে বিন্দু মাত্র বিচলিত নয় তাঁরা সাফ জানায়, সিপিএম নেতা কর্মীরা বিজেপিকে সমর্থন করলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদেরকোন লাভ করতে পরবে না। রানিগঞ্জ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাবু রায় বলেন, ” যে ৫টি পঞ্চায়েত আমাদের আছে সেগুলি থাকবেই। যেটি নেই সেটিও এবার আমাদের দখলে আসবে। করণ গ্রামীণ এলাকায় যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তাতে আমরা আত্মবিশ্বাসী জনগন তৃণমূল বাদ দিয়ে অন্য কোনও দলনিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে না। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষন ঘরুই বলেন, “শুধু রানিগঞ্জ কেনসব জায়গাতেই আমাদের শক্তি বেড়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই দলে আসছে । পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ২১ জানুয়ারী আমরা বড় কর্মসুচী নিচ্ছি। কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে এক ডজন নেতা ওইদিন উপস্থিত থাকবেন।” অন্য দিকে সিপিএম নেতা সুপ্রিয় রায় দুদলকেই কটাক্ষ করে বলেন যে অনেকেই তৃণমূলকে শীক্ষা দেবার জন্য পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সমর্থন করছে। তিনি এই দল বদলকে সাময়িক বলেও উল্লেখকরেন। তাছাড়াও তিনি জানান যে মানুষে নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে আবার সিপিএমকে সমর্থণ করবেন।এখন পঞ্চায়েত ভোটেই বলবে আসল কথা। আপনার মতামত জানান -