এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিজেপি ও তৃণমূল দুটি দলই ‘বর্বর’ – কলকাতার বুকে বিস্ফোরক হেভিওয়েট সর্বভারতীয় নেতা!

বিজেপি ও তৃণমূল দুটি দলই ‘বর্বর’ – কলকাতার বুকে বিস্ফোরক হেভিওয়েট সর্বভারতীয় নেতা!

বর্তমানে এই রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করবার জন্য দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। কিন্তু 2011 সালে এই রাজ্যে পালাবদলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক নির্বাচনে অস্তিত্ব ক্ষয় হতে শুরু করেছে বামেদের। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সেই বামেদেরকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে দেখা গেছে বিজেপিকে।

কিন্তু এইভাবে চলতে থাকলে তো অস্তিত্ব হ্রাস পাবে রাজ্যের আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের। তাই এবারে সেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপিকে এক আসনে বসিয়ে কটাক্ষ করা শুরু করলেন বাম নেতারা।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দলের রাজ্য কমিটির দৈনিক মুখপাত্র গণশক্তির 53 তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় উপস্থিত হন মহারাষ্ট্রের কৃষক মার্চের প্রধান তথা সিপিএমের সর্বভারতীয় কৃষক সভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে। আর সেখানেই উপস্থিত হয়ে একদিকে যেমন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন তিনি, ঠিক তেমনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেও চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে দেখা যায় তাঁকে।

প্রসঙ্গত, গোটা দেশে কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে প্রায় সমস্ত বিরোধী দলগুলি। এদিন কলকাতায় এসে সেই একই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন সিপিএমের সর্বভারতীয় কৃষকসভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “বিজেপির আমলে কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা এক লাফে 42 শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। মোদি সরকার বাস্তব তথ্য চেপে যাচ্ছে।” তবে শুধু কেন্দ্র নয়, কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে রাজ্যের বর্তমান তৃনমূল সরকারের উদ্দেশ্যেও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে এই সিপিএম নেতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যাই দাবি করুন না কেন, গত সাত বছরে এই রাজ্যে 191 জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। ক্ষমতায় থাকতে গণতন্ত্রকে প্রতিনিয়ত হত্যা করছে তৃণমূল।”

আর এরপরই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে অশোক ধাওয়ালে বলেন, “তৃণমূল বিজেপির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এই দুটি দলই বর্বর, তাই এই দুদলের বিরুদ্ধেই বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, অশোক ধাওয়ালের এহেন মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে, আগামী লোকসভা ভোটে এই রাজ্যে ফের ঘুরে দাঁড়াতে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তিকে নিজেদের কাছে পাওয়ার চেষ্টা করছে বামেরা।

এদিকে এদিন সিপিএমের এই মুখপত্র গণশক্তির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি রাজ্যের কৃষকদের জন্য “কৃষক বন্ধু” প্রকল্প নিয়েও তীব্র কটাক্ষের সুর শোনা যায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের গলায়। এদিন তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে কৃষকদের ঋণ ও ফসলের দাম নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী।

তেলেঙ্গানা, ওড়িশার পর চন্দ্রশেখর রাও আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে আসলে উনি কৃষকদের কিছু টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। শুনছি প্রধানমন্ত্রীও নাকি এমন কিছু কথা ঘোষণা করবেন। আসলে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একেবারে প্রধানমন্ত্রীর মতোই ভয় পেয়ে গেছে।

আমরা কৃষকদের কৃষি ঋণ মুকুব ও ফসলের ন্যায্য দাম পাওয়ার দাবিতেই এই লড়াই করছি।” সব মিলিয়ে এবার দলের মুখপত্রের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসক দলকে এক আসনে বসিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিল বামেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!