বিজেপিতে আসার পরেই আজই প্রথম অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছেন এই হেভিওয়েট নেতা, জল্পনা সর্বস্তরে জাতীয় বিজেপি রাজনীতি November 3, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনৈতিক মহলে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু তার সাথেই আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় চলছে উপনির্বাচন। আর তার মধ্যেই রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ। কিছুদিন আগে পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ ছিল রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কারণ মধ্যপ্রদেশের অন্যতম কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া রাতারাতি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে দল বদল করে বিজেপিতে প্রবেশ করেন। আর এর ফলে যথারীতি ক্ষমতার হাতবদল হয়। মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতা কংগ্রেসের থেকে পৌঁছে যায় বিজেপির হাতে। মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ সিং চৌহান। দেশের 10 টি রাজ্যের 54 টি আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই 54 টি আসনের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের 28 টি, গুজরাটের আটটি, উত্তরপ্রদেশের সাতটি, নাগাল্যান্ড, কর্ণাটক, ঝাড়খন্ড এবং উড়িষ্যার দুটি করে আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে। এছাড়াও ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং হরিয়ানার একটি করে আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সবথেকে বেশি নজরে থাকতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভোট। কারণ মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনের ওপরেই নির্ভর করছে আগামী দিনে বিজেপির ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া 22 জন বিধায়ক সহ গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। পরে আরও 3 জন বিধায়ক কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার তিনজন বিধায়কের মৃত্যু হয়। ফলে মোট 28 টি আসনের জন্য লড়াইতে নেমেছে বিজেপি এবং কংগ্রেস সহ অন্যান্যরা।অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, 28 টির মধ্যে 25 টি আসনে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়করাই প্রার্থী হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। যাদের মধ্যে 12 জন আবার রাজ্যের মন্ত্রী। ঠিক একইভাবে আবার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগদানের ফলে বিক্ষুব্ধ কয়েকজন বিজেপি নেতা যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ উপনির্বাচনে তাঁদেরকেই প্রার্থী করেছেন। সুতরাং পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশ উপনির্বাচন এই মুহূর্তে প্রবলভাবে প্রেস্টিজের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এর ক্ষেত্রে অবশ্য এই নির্বাচনে জেতার ব্যাপারটা কিছুটা সহজ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - 28 টির মধ্যে 9 টি আসনে জিতলেই সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে যাবেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফিরতে গোলে জিততে হবে সবকটি আসন, যা একপ্রকার অসম্ভব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে এই উপনির্বাচনে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ভূমিকা প্রবল হয়ে দেখা দিচ্ছে। কারণ সিন্ধিয়া নিজের অনুগামীদের যদি জেতাতে না পারেন, তাহলে কিন্তু গেরুয়া শিবিরে তাঁর কদর কমবে বলে ধরে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে ঝাড়খণ্ডের দুটি আসনের উপনির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে। কারণ ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস এবং জেএমএম জোট সরকারের হাতে এই মুহূর্তে কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। পাশাপাশি বিজেপি চেষ্টা করে চলেছে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতা দখলের। এই নিয়ে সম্প্রতি ঝারখণ্ড সরকার সেখানকার বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলাও করেছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের সাতটি এবং গুজরাটের আটটি আসনে চলছে উপনির্বাচন, যেগুলিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচন এই মুহূর্তে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কাছে অগ্নিপরীক্ষার মত। কারণ উপনির্বাচনে যদি তাঁর অনুগামীরা না জিততে পারেন, তাহলে কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মধ্যপ্রদেশে জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস শিবির যদি নাও জেতে, তাহলেও কিন্তু তাঁরা এই প্রেস্টিজ ফাইটে এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা গেরুয়া শিবিরের কাছে এবং সর্বোপরি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কাছে কিন্তু অত্যন্ত লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত সারাদেশের ওয়াকিবহাল মহলের নজর এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি টিকে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনের উপর। আপনার মতামত জানান -