বকেয়া টাকা নিয়ে তুমুল অপমান চিকিৎসককে, পাল্টা চিকিৎসক বন্ধ করলেন চিকিৎসা পরিষেবা অন্যান্য কলকাতা রাজ্য June 24, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এলাকার ব্যবসায়ি সমিতির আচরণে হতাশ হয়ে এবার ডাক্তার রোগী দেখা বন্ধ করে দিলেন এলাকায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। গড়িয়া এলাকার চিকিৎসকের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি থেকে তাঁকে ব্যাপকভাবে অপমানিত করা হয়েছে টাকা বকেয়া থাকার কারণে। এবং সেই অপমানের গ্লানি বইতে না পেরে ঐ চিকিৎসক করোনা আবহেই রোগী দেখা বন্ধ করে দিলেন। ঘটনাটি অন্য কোথাও নয়, ঘটেছে খোদ কলকাতার বুকে গড়িয়ায়। জানা গেছে, গড়িয়ার পদ্মশ্রী বাজারের 10 নম্বর শপে ডাক্তার দীপঙ্কর ঘোষ এর চেম্বার। ডাক্তারবাবুর অভিযোগ, সম্প্রতি তিনি ব্যক্তিগত কাজে বাঁকুড়া গিয়েছিলেন, সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ তাঁর চেম্বারে এসে রীতিমত তুলকালাম কাণ্ড করেন। চিকিৎসকের নামে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। ডাক্তার দীপঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি সমস্যার সমাধান করতে ব্যবসায়ী সমিতিতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও কোন লাভ হয়নি, তাঁকে আরও অপমানিত হয়ে ফিরতে হয়। এমনকি ডাক্তার দীপঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁকে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এর এইসব কারণের জেরেই রীতিমতো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজের চেম্বার বন্ধ করলেন চিকিৎসক দীপঙ্কর ঘোষ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এর আগে বাম আমলেও ডাক্তার দীপঙ্কর ঘোষকে বিপাকে পড়তে হয়েছিল, যখন তিনি পদ্মশ্রী বাজারে দোকান কিনেছিলেন। সে সময় তাঁর কাছে 10 লক্ষ টাকা সেলামি চাওয়া হয়। এমনকি টাকা না দিলে তাঁর ছেলেকে কিডন্যাপ করা হবে বলেও ধমকি দেওয়া হয়। সে সময় অবশ্য কলকাতা পুলিশের সাহায্যে তিনি মুক্তি পান ঝামেলা থেকে। কিন্তু নতুন করে আবার টাকা সংক্রান্ত উৎপাত শুরু হয়েছে, আর তাই তিনি চেম্বার বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করলেন। তবে এভাবে ডাক্তারবাবু চেম্বার বন্ধ করার জন্য ব্যবসায়ী সমিতিকে অভিযুক্ত করলেও সমিতির পক্ষ থেকে কিন্তু সমস্ত অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। বরং তাঁরাই পাল্টা ডাক্তার দীপঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাঁকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় কিন্তু এবার রাজনৈতিক রঙ লাগতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে একজন পরিচিত ডাক্তার এভাবে বরাবরের মতন চেম্বার বন্ধ করে দেওয়ায় কার্যত এলাকার অন্যান্য সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়লেন। আপনার মতামত জানান -