এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বড়সড় ধাক্কা মুকুল রায় শিবিরে? বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে গেলেন প্রভাবশালী সংখ্যালঘু নেতা!

বড়সড় ধাক্কা মুকুল রায় শিবিরে? বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে গেলেন প্রভাবশালী সংখ্যালঘু নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালে দেখা যায়, তৃণমূল শিবিরের একাধিক হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগদান করেন সেইসময়। খুব স্বাভাবিকভাবে ঐ হেভিওয়েট নেতাদের হাত ধরে বহু তৃণমূল কর্মীরাও বিজেপিতে যান বলে জানা গেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে 18 টি সিট জেতার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির আত্মবিশ্বাস অনেক ওপরে উঠে আসে। আর এক বছরের মধ্যেই বাংলার মসনদ দখলের লড়াই। সেই লড়াইযকে সামনে রেখেই বিজেপি তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের সংগঠনকে গুছিয়ে নিতে আরো তৎপর হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই অবস্থায় এবার বিজেপির শিবিরে ঘটে গেল অঘটন।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতা অঞ্চলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা এবং বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই রীতিমতো রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু হয়েছে বাংলায়। মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার সাথে সাথে তাঁর সাথে বহু অনুগামীও দল ছাড়েন এবং বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু বর্তমানে মুকুল রায় বিজেপি শিবিরে থাকলেও অনুগামীরা কিন্তু পুরনো শিবিরে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেরকমই ঘটনা ছবি উঠে আসল গড়বেতায়। সম্প্রতি চন্দ্রকোনা রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভায় এবার যোগ দিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা কবিরুল ইসলাম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, কবিরুল সহ প্রায় 300 বিজেপি কর্মী এদিন ঘাসফুল শিবিরে যোগ দান করেন। এদিন চন্দ্রকোনা রোডে তৃণমূল কর্মীসভায় কবিরুল ইসলাম সহ প্রায় 300 বিজেপি কর্মীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শালবনীর তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গড়বেতা অঞ্চলে বিজেপি দুর্গে ভাঙ্গন ধরার ফলে আখেরে লাভ হল তৃণমূল শিবিরের। তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মীসভার অনুষ্ঠানে শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আকাশদীপ সিনহা, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক শিক্ষা সংগঠনের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু বিশুই-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনের লড়াইয়ে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করার সাথে সাথে গেরুয়া শিবিরের কিন্তু এই রাজ্যে তাঁদের সংগঠন মজবুত করার প্রয়োজন আছে। কারণ বিগত বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যে অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক শাসক দল তৃণমূল যেভাবে বিজেপি দুর্গে ভাঙ্গন ধরাচ্ছে, তা কিন্তু আগামী দিনে বিজেপির পক্ষে অত্যন্ত হানিকারক হয়ে উঠতে পারে। যদিও এই দলবদলের ব্যাপারে অবশ্য এখনো পর্যন্ত বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে কারো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় পুরো ব্যাপারটির ওপর নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!