এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Breaking News, নির্বাচন কমিশনের পাঠানো নোটিসের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Breaking News, নির্বাচন কমিশনের পাঠানো নোটিসের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কোচবিহারের এক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের প্রতি জানিয়েছিলেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি গন্ডগোল পাকাতে আসে, তবে তাদের ঘেরাও করে রাখতে। এরপর ভোট দিতে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। নির্বাচন কমিশন মুখ্যমন্ত্রীকে নোটিশ পাঠিয়েছে গতকাল। কেন তিনি এমন পরামর্শ দিয়েছেন? তার উত্তর জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে তার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, তিনি বলেছেন, মহিলাদের গণতান্ত্রিকভাবে ঘেরাও করতে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দিলে, তাদের ঘেরাও করতে বলেছেন তিনি। তিনি জানান, ঘেরাও করা একটা প্রতিবাদের মাধ্যম। ১৯৬০ সালে থেকে এই শব্দের প্রচলন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তিনি জানালেন, তিনি শুধু এটুকুই বলতে চান যে, নির্বিঘ্নে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারেন সকলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকাকে তিনি সম্মান করেন। কিন্তু গত ৬ ই এপ্রিল তারকেশ্বরের রামনগরে এক শিশু কন্যাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছিল অজ্ঞাত পরিচয় জওয়ানের বিরুদ্ধে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এই অভিযোগ করা হয়েছে। থানায় এফআইআর করা হয়েছে। তবে, এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার নির্বাচনে আধাসামরিক বাহিনী বল প্রয়োগ করেছে।

একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করেছে আধাসামরিক বাহিনী। এজন্য তাঁরা অনেক অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজি, ডিজি নিরাপত্তা, এডিজি আইনশৃঙ্খলা. হাওড়া গ্রামীণ, আলিপুরদুয়ার, ডায়মন্ড হারবার, কোচবিহার, কলকাতা দক্ষিণ থেকে অপসারিত করে দেয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সভায় তিনি বলেছেন সিআরপিএফ গন্ডগোল করলে, তাদের ঘেরাও করে রাখতে বাড়ির মেয়েদের একটা দলকে। আরেকটা দল ভোট দিতে যাবে। ভোটাধিকার প্রয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হলে মহিলাদের গণতান্ত্রিকভাবে ঘেরাও করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই কথার অর্থ হল কথাবার্তা, ঘিরে ধরা নয়। তিনি জানান, গণতন্ত্র ও সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষা করা তাঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেন নি বলেই, দাবি করেছেন তিনি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!