এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট মিটতেই ‘গদ্দার’ নেতাদের সরানোর প্রস্তুতি তৃণমূলে? মান বাঁচাতে পদত্যাগের হিড়িক?

ভোট মিটতেই ‘গদ্দার’ নেতাদের সরানোর প্রস্তুতি তৃণমূলে? মান বাঁচাতে পদত্যাগের হিড়িক?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে প্রচুর হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছিলেন। তবে নেতারা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেও, নিচুতলার কর্মী থেকে শুরু করে অনেক জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলে থেকে গিয়েছিলেন। তবে শাসক দলে থাকা সত্ত্বেও তারা বিধানসভা নির্বাচনের সময় শাসক দলের হয়ে কাজ করা অপেক্ষা বেশি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে বিরোধী দলকে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল।

যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় বার তৃণমূলের পক্ষ থেকে ক্ষমতায় আসার পরই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বহিষ্কার প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতাকে তৃনমূলের তরফ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এবার দলের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মুজিবর রহমান। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, বুধবার পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুজিবর রহমান বিডিওর কাছে গিয়ে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে কেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান তার পদত্যাগ জমা দিলেন? একাংশ দাবি করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই পঞ্চায়েত প্রধান দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তৃতীয়বার দল ক্ষমতায় আসার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। তাই দলের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই নিজের মুখ বাঁচাতে তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে আইএসএফ প্রার্থী দিয়েছিল। জানা যায়, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মজিবর রহমান এখানকার বিধায়ক গুলশান মল্লিকের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত। এদিকে আইএসএফ এখানে আব্দুল জলিলকে প্রার্থী করতেই তার নির্বাচনী এজেন্ট হয়ে যান তৃণমূলের মুজিবর রহমান। তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই সেখানে জয়লাভ করেন শাসক দলের প্রার্থী গুলশন মল্লিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান থাকা মুজিবর রহমান তখন থেকেই ব্যাপক চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। যেভাবে বিধায়কের বিরোধিতা করে তিনি নির্বাচনে প্রতিপক্ষ শিবিরের এজেন্ট হয়েছিলেন, তাতে জয়লাভ করার পর শাসকদলের বিধায়ক এবং তার অনুগামীরা যে তাকে বিন্দুমাত্র জায়গা ছেড়ে দেবে না, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর এরপরই পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে মুজিবর রহমানের ইস্তফা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক গুলশান মল্লিক বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই মুজিবরের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে্ উঠতে শুরু করেছিল। দলের পক্ষ থেকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই উনি পদত্যাগ করেছেন। এখন নির্বাচনের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।” পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, তৃণমূল তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এখন শুদ্ধিকরণের ওপর সবথেকে বেশি জোর দিয়েছে। কেননা নির্বাচনের আগে যেভাবে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বিরোধী শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছিলেন, তাতে তৃণমূল যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল।

তাই পরবর্তীতে যাতে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত দলের কোনো নেতা এবং কর্মীরা নিতে না পারে, তার জন্য এখন থেকেই বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন তৃণমূল নেতারা। আর এই পরিস্থিতিতে ভোটের সময় দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান দলের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। অর্থাৎ মুখ বাঁচানোর জন্যই যে মুজিবর রহমান এই কাজ করেছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!