এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের পরই একের পর এক অসঙ্গতির অভিযোগ

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের পরই একের পর এক অসঙ্গতির অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছরই এই মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু অস্বচ্ছতার অভিযোগে আদালতে মামলার কারণে সেই মেধাতালিকা বাতিল করে দিয়ে, আবার নতুন করে ইন্টারভিউ প্যানেল তৈরি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। কিন্তু এবার যে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে, অভিযোগ উঠেছে।

মেধা তালিকা প্রকাশের পরই একাধিক অভিযোগ নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে গেলেন বহু চাকরিপ্রার্থী। অনেকে অভিযোগ করেছেন ইন্টারভিউ তালিকার নাম ওঠার জন্য নূন্যতম যে যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন, তার চেয়ে অনেক বেশি যোগ্যতা আছে বহু প্রার্থীর, কিন্তু তাদের নাম তালিকায় রাখা হয়নি। এ কারণে স্কুল সার্ভিস কমিশনের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেছিলেন অনেকে। তবে, অনেকের ফোন ধরা হয়নি বলে, অভিযোগ উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের হেল্পলাইন নম্বর থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে যে, তাঁর স্নাতক পরীক্ষার মার্কশিট জমা পড়েনি। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁর সমস্ত নথিপত্র জমা হয়েছিল বলে, সেখানে দেখানো হয়েছিল। তাই, শেষ পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি অভিযোগ জানাতে।

অপর এক চাকরিপ্রার্থী জানালেন, ইন্টারভিউ তালিকাতে প্রার্থীর মোট নম্বর জানানো হয়নি। তালিকাতে প্রার্থীর নামের পাশে মোট নম্বর দেওয়া থাকলে ভালো হতো। আদালতের নির্দেশে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে, তাই তালিকা আরো স্বচ্ছ হবে বলে, আশা করেছিলেন তিনি। ইন্টারভিউতে কেউ বাদ যেতেই পারেন, কিন্তু কেন তিনি বাদ পড়েছেন? তার কারণ কেন তাকে জানানো হবে না? তিনি অভিযোগ করেছেন, একাডেমিক ও টেটের নম্বর মিলিয়ে মোট নম্বর তাঁর যা হয়েছে, তার চেয়ে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীর নাম ইন্টারভিউর তালিকায় উঠে এসেছে।

এ প্রসঙ্গে আপার প্রাইমারি সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষ থেকে অর্পিতা প্রামাণিক জানালেন যে, ২০১২ সাল থেকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে আসছে। কিন্তু শূন্যপদ একই থেকে যাচ্ছে। যারা ২০১২ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের অনেকের বয়স চাকরি পাওয়ার শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। শূন্যপদ বৃদ্ধি না করার কারণে বিপুল সংখ্যক চাকরি প্রার্থীর মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, নিয়মিত যদি টেট পরীক্ষা নেয়া হতো তাহলে চাকরির সুযোগ পেতেন অনেকে।

অনেকে অভিযোগ করেছেন, প্রথমবার যখন মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তখন সে তালিকায় তাদের নাম ছিল। তবে, পরবর্তী তালিকায় তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। তবে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি। এভাবে, নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের পরই একাধিক অসঙ্গতির অভিযোগ করেছেন বহু চাকরিপ্রার্থী। ইতিপূর্বে মামলা চলার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়। দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ার কারণে তীব্র বিপাকে বহু চাকরিপ্রার্থী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!