এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মেয়ের বিয়ের ঢালাও আয়োজনের সঙ্গেই ভোটের প্রচার! উপনির্বাচনের ভোটবাক্সে পড়বে প্রভাব?

মেয়ের বিয়ের ঢালাও আয়োজনের সঙ্গেই ভোটের প্রচার! উপনির্বাচনের ভোটবাক্সে পড়বে প্রভাব?

 

একদিকে প্রত্যাশা, অন্যদিকে বিষাদ। তবে চাপ দুটোতেই আছে। আর সেই প্রবল পরিশ্রমের ফসল কি পাবেন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকার? এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। বস্তুত, কংগ্রেসিদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছিল সাদামাটা মানুষ বলে পরিচিত কমল সরকারকে।

শনিবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। আর শেষ দিনের প্রচারে যখন সব দলের প্রার্থীরা বাজিমাত করতে ব্যস্ত, সেই সময় কমলবাবু চেষ্টা করছিলেন, শেষ মুহূর্তে কিভাবে তার প্রচারকে জমকালো করা যায়। তাতে অনেকটা সফলও হয়েছিলেন তিনি। তবে প্রথম থেকেই তার চাপ ছিল।

কেননা শনিবার ছিল তার মেয়ের বিয়ে। তাই একদিকে হাতে কিছুদিন বাকি থাকা উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে প্রচার, আর অন্যদিকে মেয়ের বিকের তদারকিতে কার্যত ঠাসা কর্মসূচি ছিল বিজেপি প্রার্থীর। জানা গেছে, এদিন প্রচারের শেষ দিন হওয়ায় কমল সরকারের হয়ে প্রচার করতে আসা বিজেপির হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা তার মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত হন। আর সেখানেই ফের বিজেপির প্রার্থীর মেয়ের বিয়েকে হাতিয়ার করে সেই প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বিজেপির নেতা নেত্রীরা।

সূত্রের খবর, শনিবাব কমল চন্দ্র সরকারের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সহ বিজেপির নেতা, নেত্রীরা। কমলবাবুর মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে এদিন তারা সেখানে হাজির হয়ে আগত অতিথিদের কাছে কমলবাবুর জন্য ভোটও প্রার্থনা করেন।

জানা যায়, প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীকে নিজের মেয়ের বিয়েতে নেমন্তন্ন করেছিলেন কমল চন্দ্র সরকার। অতিথিদের হাসিমুখে আপ্যায়ন করতেও দেখা যায় কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থীকে। আর বাবা প্রার্থী হওয়ায় একদম প্রচারের শেষ দিনে তার বিয়েতে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা আসায় রীতিমতো খুশি পাত্রী তথা কমলবাবুর মেয়ে রাখি সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “আমাদের বাড়িতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। আমি অত্যন্ত খুশি। যারা এই শুভ দিনে আমাকে আশীর্বাদ করতে এসেছেন, তাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বাবা সবসময় বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তার জন্য কিছুটা হলেও খারাপ লাগছে। তবে আমি জানি, বাবা অনেক বড় কাজে ব্যস্ত রয়েছে।”

এদিকে প্রচারে এসে দলীয় প্রার্থীর মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত হয়ে রীতিমতো অভিভূত ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এদিন তিনি বলেন, “এই দিনটি কমলবাবুর মেয়ের সারাজীবন মনে থাকবে। তার পিতা বর্তমানে কালিয়াগঞ্জবাসীর জন্য কিছু করতে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। আমি দাদা হিসেবে সুখ-সমৃদ্ধি ও শুভেচ্ছা জানালাম। কমলবাবুর মেয়ে জানে, তার বাবা একটা বৃহত্তর কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত। কিন্তু সে এটাও জানে, আমরা সবাই তার পাশে রয়েছি।” কিন্তু একদিকে প্রচারের শেষ দিন, আর অন্যদিকে মেয়ের বিয়ে দুটো এক হাতে তিনি সামলাচ্ছেন কি করে?

এদিন এই প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকার বলেন, “আমি মনে করি, আমার মেয়ে শুধু আমার মেয়ে নয়। কালিয়াগঞ্জবাসীর আদরের কন্যা। তাঁর বিয়েতে আমি থাকতে পারছি না। কারণ মানুষের জন্য কিছু করার লক্ষ্যে আমি প্রচারে ব্যস্ত। তবে সমস্ত কিছুই সব ভালোভাবে মিটে গিয়েছে। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আমার শুভানুধ্যায়ীরা সমস্ত কাজ মিটিয়ে দিয়েছেন।”

আর এখানেই প্রশ্ন, কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকায় তার মেয়ের বিয়েতে গায়ে গতরে খেটে দিয়ে সকলেই বৃহৎ পারিবারিক অনুষ্ঠান পার করলেও কমলবাবু বিধানসভায় কি যেতে পারবেন! প্রচুর পরিশ্রম করে মেয়ের বিয়ের মধ্যেও দলের প্রচার করে তিনি কি তার জয় নিশ্চিত করতে পারবেন! মেয়ের বিয়েতে জনতা জনার্দন তার পাশে দাঁড়ালেও ভোটবাক্সে কি হয়! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!