এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতার বুকে দুই হেভিওয়েট বিধায়ক-মন্ত্রীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল

কলকাতার বুকে দুই হেভিওয়েট বিধায়ক-মন্ত্রীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল

আবার গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের শাসক দলের দুই নেতা। দেওয়াল তোলাকে কেন্দ্র করে সামনে এল মানিকতলার বিধায়ক মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালের তরজা। তবে এবার বিষয়টা একটু অন্যরকম। কাঁকুড়গাছিতে এক পাঁচিল নির্মাণ করা হচ্ছিল। তাতেই বিপত্তি। দুই নেতা এবং তাদের অনুগত লোকজন পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পালটা অভিযোগে বিঁধলেন। কীসের এই পাঁচিল ? স্থানীয় অধিবাসীদের একাংশ জানালেন, কলকাতা পুরসভার নতুন প্রকল্প ‘ওয়াল অফ ফেম’। সেই জন্যই নাকি দোকানের সামনে ১২ ফুট দেওয়াল তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ দোকানদাররা। তেমনি এক দোকনদার নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, ”সামনে ১২ ফুট দেওয়াল উঠলে দোকান ঢেকে যাবে। ব্যবসায় ক্ষতি হবে।” প্রসঙ্গতঃ কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে হাতিবাগান থেকে চৌরঙ্গি, পার্কস্ট্রিট সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এই ‘ওয়াল অফ ফেম’ করা পরিকল্পনা রয়েছে ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অবশ্য পুরসভা এমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি জানিয়ে সাধন পান্ডে বললেন, ”কলকাতা পুরসভা এমন কোনও প্রকল্পে কাজ শুরু করেনি। এটা বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালের মস্তিষ্ক প্রসূত।” শুধু এই কথাই নয় রাজ্যের ক্রেতা ও সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে আরও বলেন , ”অন্যের বিধানসভা কেন্দ্রে সৌন্দর্যায়নের নামে সমস্যা তৈরির চেষ্টা চলছে। দোকানের সামনে এতবড় পাঁচিল উঠলে সমস্যায় পড়বে ব্যবসায়ীরা। তাতে লোকসান আমাদেরই। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আশা করছি তিনি ব্যবস্থা নেবেন।” অন্যদিকে বিধায়ক পরেশ পাল ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা মানতে নারাজ। সাধন পান্ডের কথার বিরোধীতা করে তিনি বললেন, ” এতে ব্যবসায়ীদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ব্যবসায়ী সমিতির তরফে মুচলেকা দিয়ে জানানো হয়েছে তাদের সমর্থনের কথা।” পাঁচিল তৈরীর কাজে যাতে কোনও বাধা না আসে সেজন্য পরেশ পাল তাঁর দলবল নিয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে আসেন বলে রাজ্যের মন্ত্রীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে বেলেঘাটার বিধায়ক পারেশ পালের আত্মবিশ্বাসী দাবি, ”আমি দীর্ঘদিন ওই এলাকায় কাটিয়েছি। মানুষের পাশে থাকা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই গিয়েছিলাম।” দুই প্রভাবশালী নেতার প্রকাশ্যে বিরোধীতার ঘটনায় স্বভাবতই অসন্তুষ্ট রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতে পাঁচিলের কাজ বন্ধ হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রাজ্ঞ দুই নেতার এহেন আচরন কার্যতই রাজনৈতিক মহলে হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!