বিবৃতি নয়, এবার পদক্ষেপ চাই! অবশেষে সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল! রাজনীতি রাজ্য February 12, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন তার অনেক বক্তব্য শুনেছে রাজ্যবাসী। সরকারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা কতটা রয়েছে, তা সন্দেশখালি যখন জ্বলছে, তখন রাজ্যপালের বাংলায় না থাকার ঘটনাতেই পরিষ্কার বিরোধী শিবিরের কাছে। প্রশ্ন উঠছে, যদি শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে গিয়ে ডেডলাইন না দিতেন, তাহলে কি বাংলায় ফেরা তো দূরের কথা, সন্দেশখালি নিয়ে একটা কথাও বলতেন না রাজ্যপাল? তিনি বুঝতে পারছেন কি পরিস্থিতি! তাই কি আজকে কলকাতায় ফিরে এবার সন্দেশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হচ্ছে তাকে? তবে বাংলায় পা রাখার পর রাজ্যপাল “পরিস্থিতি খতিয়ে থাকতে সন্দেশখালি যাচ্ছি” বলে অনেক বড় বড় কথা বললেও, তার কাছ থেকে কিন্তু এই সমস্ত মানুষ আশা করছে না। তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। প্রশাসন যখন ভেঙে পড়েছে, যখন মহিলারা তাদের আর্তনাদের কথা জানাচ্ছেন, তখন তিনি শুধুমাত্র বার্তা দিয়েই থেমে যাবেন! কোনো পদক্ষেপ নেবেন না? যেখানে বিরোধীরা ঢুকতে পর্যন্ত পারছে না, প্রতি মুহূর্তে আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ চালানো হচ্ছে, সেখানে কেন রাজ্যপাল স্টেপ নিতে পারবেন না? কেন তিনি কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে পারবেন না যে, রাজ্যে এবার একটা কিছু করা উচিত! যদি আজকেও রাজ্যপাল সন্দেশখালি গিয়ে শুধুমাত্র সাংবাদিকদের সামনে বড় বড় কথা বলেন এবং ফিরে চলে আসেন, তাহলে কিন্তু তার বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলতে শুরু করবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। প্রসঙ্গত, অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছেন রাজ্যপাল। আজ সকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর সেখানেই সন্দেশখালি নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, সন্দেশখালি যাচ্ছেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু এখনও কি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার মত কোনো অবকাশ রয়েছে? যেখানে মহিলারা এত ভয়ংকর কথা বলছেন যে, তৃণমূল নেতারা তাদের ভোগ্য পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতো, সেখানে আর কি খতিয়ে দেখবেন এই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান? নাকি তিনি সরকারের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করছেন! এতদিন তার অনেক লেকচার এই রাজ্যের মানুষ শুনেছে। কিন্তু আর ভাষণ শুনতে রাজি নয়। এবার মানুষ চায়, তাদের জমি, বাড়ি যেভাবে লুট হয়েছে, সম্ভ্রম যেভাবে নষ্ট হয়েছে মহিলাদের, তার বিরুদ্ধে প্রকৃত অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এর পেছনে মূল মাথা কে, কে বা কারা ওপরতলা থেকে এই সন্দেশখালির বাঘদের আশীর্বাদ করেছে বলেই তারা অত্যাচার করেছে, সেটা তো খতিয়ে দেখা উচিত। আর এই সমস্ত কিছু রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান করতেই পারেন। কিন্তু তিনি যদি ওই মিনমিনে গলায় গিয়ে শুধুমাত্র প্রেস মিডিয়ার সামনে কথা বলে এলাকা দেখে চলে আসেন, আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে কিন্তু রাজ্যের মানুষের পক্ষ থেকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিবাদ সংগঠিত হবে, তাতে নবান্নের পাশাপাশি ফল ভুগতে হবে রাজভবনকেও বলেই মনে করছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত রাজভবনের। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দিকে প্রচুর মানুষ তাকিয়ে আছেন। প্রশাসন যখন ভেঙে পড়েছে, তখন একমাত্র ভরসা রাজ্যপাল। তাই তিনি এলাকা দেখে এসে একটা কোনো পদক্ষেপ নিন, যাতে সেখানকার মানুষ এই ভয়ের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারে। আর যদি এরপরেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না হয়, তাহলে গোটা রাজ্য জুড়ে অত্যাচারিত মানুষরা যে প্রতিবাদ করবেন, তাতে দিকে দিকে এই সন্দেশখালি তৈরি হবে। আর তখন প্রশাসন তো দূরের কথা, সাংবিধানিক প্রধান হাজার চেষ্টা করেও পরিস্থিতি বাগে আনতে পারবেন না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। আপনার মতামত জানান -