এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিবিআইয়ের ডাক অনুব্রতকে, না যাওয়ার নিদান মমতার!

সিবিআইয়ের ডাক অনুব্রতকে, না যাওয়ার নিদান মমতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অষ্টম দফায় বীরভূম জেলার একাধিক আসনে নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু তার আগেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জেরা করবার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে না যাওয়ার পরামর্শ দিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে যখন কিছু জানবার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো হল, তখন কেন এভাবে তাকে না যাওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেত্রী, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বলা বাহুল্য, নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করে বেছে বেছে তাদের নেতাকর্মীদের সিবিআই এবং ইডি দিয়ে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এর মাঝেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার জন্য সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানোকে কেন্দ্র করে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যায় ঘাসফুল শিবির। তবে এর মাঝেই এবার গোটা বিষয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, অষ্টম দফার নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষে সোমবার কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটারে একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেখানেই অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআইয়ের ডাক প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি এত ভীতু যে কেষ্টর বাড়িতে গিয়েছিল। দুজন সিবিআই কর্তা গিয়ে বলছে, 27 এপ্রিল হাজিরা দিতে হবে। যেন ওর কোনো কাজ নেই। ও জেলা সভাপতি। ওকে এখন হাজিরা দিতে হবে? আমি ওকে বলেছি, একদম যাবি না। ভোট মিটলে তারপর যাবি।” আর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ডাক পাওয়ার পর যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতিকে না করে দিলেন, তাতে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হতে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু তৃণমূল নেত্রী নন। তিনি এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থকেই সব থেকে আগে দেখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই ভোটের আগে সিবিআইয়ের জেরা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে অনুব্রত মণ্ডলকে না যাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।

বিরোধীদের দাবি, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গেছেন, তাদের দল দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। এখন অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই কারণেই তাঁকে না যাওয়ার পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তবে যে যাই বলুন না কেন, অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআইয়ের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জেহাদ ঘোষণা রীতিমত গুঞ্জন বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!