এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > ভয়ঙ্কর প্রতিহিংসার রাজনীতি, নিরপরাধ যুবকের চাকরি খেলেন মমতা ! তোলপাড় রাজ্য !

ভয়ঙ্কর প্রতিহিংসার রাজনীতি, নিরপরাধ যুবকের চাকরি খেলেন মমতা ! তোলপাড় রাজ্য !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে যে কি ভয়ঙ্কর প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে, তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পুলিশকে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া তো রয়েছেই। আর তার মধ্যে এবার ভয়ংকর তথ্য সামনে এলো। যেখানে স্ত্রী বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করার কারণে চাকরি চলে গেল এক ব্যক্তির। ভোট সন্ত্রাসের কারণে বাইরে ছিলেন দীর্ঘদিন। বাড়ি ফিরে জানতে পারলেন, তাকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি থেকে ছাটাই করা হয়েছে। আর সেই খবর পেয়ে রীতিমতো মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে কার্তিক হালদারের।

বলা বাহুল্য, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুরে বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে লড়াই করেছিলেন কার্তিকবাবুর স্ত্রী। জয়লাভ করার পর থেকেই তাকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরঞ্চ ক্রমাগত হুমকি হুঁশিয়ারি দেওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ঘর ছাড়া ছিল এই পরিবার। স্বামী কার্তিক হালদার সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি করতেন। তবে তিনি ফিরে জানতে পারলেন, তার চাকরিটা নেই। যার পরেই একাংশ অভিযোগ করছেন, কার্তিক হালদার এবং তার পরিবার প্রতিহিংসার শিকার। তার স্ত্রী তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার কারণেই তাকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের আর একটা নির্লজ্জ রূপ এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে সামনে চলে এলো বলেই দাবি বিরোধীদের।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সব জায়গায় ক্ষমতা দখল করতেই হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তা না হলেই তাদের পুলিশ দিয়ে হুমকি দেওয়া হবে। আর শেষ পর্যন্ত তাদের রুজি-রুটি কেড়ে নেওয়ার মতো খেলাতেও নেমে পড়েছে এই রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যে বেকারের বাড়বাড়ন্ত। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে। ফলে ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিন্তু একটি সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি কেড়ে নিয়ে কিল মারার গোঁসাই হিসেবে নিজেদের প্রতিপন্ন করলো এই রাজ্য সরকার।

তবে রাজ্যের বিরুদ্ধে এই ভয়াবহ অভিযোগ উঠতেই তৃণমূল অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলে ময়দানে নেমে পড়েছে। তাদের দাবি, দেড় মাস চাকরিতে যোগ দেননি এই কার্তিক হালদার। যে কারণেই হয়তো তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতির কোনো যোগ নেই। কিন্তু এখানেই অনেকে প্রশ্ন করছেন যে, চাকরিতে যোগ দেননি কার্তিকবাবু, তা না হয় ঠিক আছে। কিন্তু তিনি কি কারণে যোগ দেননি, সেই খবর কি একবারের জন্যও নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেছে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্তারা! যেভাবে কার্তিকবাবু এবং তার পরিবারকে প্রতিনিয়ত তৃণমূলের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছিল, তার সমাধান করতে কেন সক্রিয় দেখা যায়নি পুলিশকে? কেন একটি নিরপরাধ পরিবারের ভাতের থালা এইভাবে কেড়ে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!