মমতার হুমকিকে ডোন্ট কেয়ার, নিজের জেদ বজায় রাখলেন রাজ্যপাল! চুপসে গেল রাজ্য! কলকাতা রাজনীতি রাজ্য September 11, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। মধ্যরাতের অ্যাকশনের কথা বলে একটি চিঠি নবান্ন এবং দিল্লীকে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকার দাবি করছে, রাজ্যপাল যা করছেন, তা বেআইনি। তিনি এভাবে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন না। কিন্তু এবার রাজ্যপালের পদক্ষেপে রীতিমতো চুপসে গেল রাজ্য সরকার। রাজভবনের তরফে আরও একবার স্পষ্ট করে দেওয়া হলো, নিজের অবস্থান থেকে সরবেন না রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর রাজ্য যতই হুমকি দিক না কেন, রাজ্যপাল যে তা কেয়ার করেন না, তাতে আবারও সিলমোহর পড়ে গেল। প্রসঙ্গত, এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরও একবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে তিনি কোনো ভুল করেননি। যা করেছেন, তা নিয়ম মেনে করেছেন। স্থায়ী উপাচার্য একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। যে কোনো যোগ্য ব্যক্তিকেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা যায়। আর দীর্ঘ টানাপোড়েনের মধ্যে রাজ্যপালের এই বক্তব্য রীতিমত চাপে ফেলে দিল রাজ্যকে। স্পষ্ট হয়ে গেল, রাজ্যের কথায় চলবেন না রাজ্যপাল। বলা বাহুল্য, এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী, সকলেই একতরফা আক্রমণ করেছেন রাজভবনকে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী ধরনা দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এমনকি রাজ্যপালের কথা শুনলে উপাচার্যদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, এই ধরনের কথা বলতে পারে না রাজ্য সরকার। তবে এত কিছুর পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের জারিজুরি যে তিনি মানবেন না, সব মেনে নেওয়ার জন্য যে রাজভবন নয়, তা সাংবাদিক বৈঠকেই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নিজের মন্তব্যতে থেকে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যপাল। পর্যবেক্ষকদের মতে, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিদ্রোহ কার্যত শেষ হতে বসেছে। মান-অভিমান তখনই টেকসই হবে, যখন তাকে বিরোধী পক্ষ প্রাধান্য দেবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ব্রাত্য বসুরা ভেবেছিলেন, তাদের হুমকিতে হয়ত নত হবেন রাজ্যপাল। কিন্তু তারা ভুল ভেবেছিলেন। অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল নিজ সিদ্ধান্তে স্থির থাকায় কার্যত চুপসে গেল রাজ্য সরকার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -