এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভুয়ো আইএএস অফিসারের পর এবার এলো রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো মুখ্যসচিব, একের পর এক দুর্নীতিতে নাজেহাল প্রশাসন

ভুয়ো আইএএস অফিসারের পর এবার এলো রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো মুখ্যসচিব, একের পর এক দুর্নীতিতে নাজেহাল প্রশাসন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে রাজ্যে। সেসময় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো মুখ্য সচিব সামনে এলো। বাঁশদ্রোণীর এক ব্যক্তি নিজেকে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের মুখ্য সচিব ও তার স্ত্রীকে মানবাধিকার কমিশনের রাজ্য সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে আর্থিক প্রতারণার কাজ করতেন। নদীয়ার পায়রাডাঙ্গার বাসিন্দা সৌভিক দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন।

গত বছর বিয়ে করেছিলেন সৌভিক দেবনাথ। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে শুরু হয় অশান্তি। এরপর বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদ করতে গিয়ে যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। তাঁর এক বন্ধু বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য সাহার সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন। এই বাপ্পাদিত্য সাহা নিজেকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের মুখ্যসচিব পরিচয় দেয় ও তার স্ত্রী ডিম্পি সাহাকে মানবাধিকার কমিশনের রাজ্য সভাপতি রূপে পরিচয় দেয়। সরকারি নীল গাড়ি পর্যন্ত তাদের রয়েছে। তাদের সহজে বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন সৌভিক দেবনাথ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর ১৫ দিনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার নিষ্পত্তি করিয়ে দেবেন এই দাবী করে তাঁর কাছ থেকে দু লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বাপ্পাদিত্য সাহা। টাকা দেওয়ার পর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সিল দেওয়া একটি চালান তাকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর ১৫ দিন হয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এরপর আবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন সৌভিক দেবনাথ।

এবার, ডিম্পি সাহা তার কাছে আরো তিন লক্ষ টাকা দাবি করেন। তিনি জানান, মানবাধিকার কমিশনের হয়ে এই টাকা তার কাছে দিতে হবে। টাকা না দিলে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার নিষ্পত্তি করা হবে না। এরপর, সন্দেহ হওয়ায়, তাঁর আগে দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে, তারা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এমনকি মারধর পর্যন্ত করা হয় সৌভিক দেবনাথকে।

এরপর বাঁশদ্রোণী থানায় গিয়ে বাপ্পাদিত্য সাহা ও ডিম্পি সাহার নামে অভিযোগ করেছেন তিনি। রাজ্যে যখন ভুয়ো আইএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে তোলপাড় চলছে, এ সময় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো মুখ্যসচিব ও মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো রাজ্য সভাপতি সামনে এল। একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা নাজেহাল করে দিচ্ছে রাজ্যের পুলিশ- প্রশাসনকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!