এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যে বিজেপির প্রচারে আবার আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন তিনি?

রাজ্যে বিজেপির প্রচারে আবার আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন তিনি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রারম্ভ থেকে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সাথে সাথে কেন্দ্রের নেতাদেরও দেখা যাচ্ছে। এরাজ্যে নিয়মিত যাতায়াত বেড়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের।। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত দফায় দফায় বাংলায় আসছেন নির্বাচনী প্রচা্রের উদ্দেশ্যে। একই সাথে অন্যান্য আঞ্চলিক বিজেপির নেতারাও এ রাজ্যে পা রাখছেন ঘনঘন। দু’দফার নির্বাচনী শেষ হয়েছে, তৃতীয় দফার নির্বাচনের মুখে আবার জানা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী দশই এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে আসছেন ভোট প্রচারে। এবার তিনি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায়ের হয়ে প্রচার চালাবেন।

ওই একই দিনে তিনি শিলিগুড়িতেও সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। শেষ তিন মাসে একাধিকবার রাজ্য সফরে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক জনসভায় রোড শো করে চলেছেন তাঁরা। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসেছিলেন। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ উঠেছিল নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের। পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আবারও আসছে চলেছেন রাজ্যে। 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী দশই এপ্রিল তিনি প্রথমে কৃষ্ণনগর যাবেন এবং তারপর শিলিগুড়িতে যাবেন।  17 এপ্রিল তিনি গঙ্গারামপুর এবং 20 এপ্রিল মুর্শিদাবাদে সভা করবেন। 22 এপ্রিল তাঁর আসানসোল এবং মালদায় সভা করার কথা আছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের কাছে প্রেস্টিজের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 যেনতেন প্রকারেণ বাংলা জয় গেরুয়া শিবিরের একমাত্র লক্ষ্য। আর বাংলা দখলের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপির পক্ষ থেকে লোকসভা নির্বাচনের আগেও রাজ্যে 17 টি জনসভা করে গিয়েছিলেন। যথারীতি ভোটবাক্সে 2 থেকে 18 উঠে এসেছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনেও সেই একই ঘটনা ঘটাতে চাইছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন লোকসভা এবং বিধানসভা দুটি সম্পূর্ণ আলাদা পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন হয়। লোকসভার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধান মুখ হিসাবে থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মুখ সবার আগে প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে যে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল শিবির সে কথা অনস্বীকার্য। তবে বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বাংলায় কোন প্রভাব ফেলতে পারেন কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। আর সে কারণে অপেক্ষা করতেই হবে আগামী দোসরা মে পর্যন্ত।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!