এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কলাইকুন্ডাতে মোদীর সঙ্গে কেন বৈঠকে ছিলেন না! চিঠি দিয়ে রহস্য ফাঁস করলেন মমতা!

কলাইকুন্ডাতে মোদীর সঙ্গে কেন বৈঠকে ছিলেন না! চিঠি দিয়ে রহস্য ফাঁস করলেন মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  অবশেষে উন্মোচিত হল রহস্য। প্রকাশ্যে এল আসল ঘটনা। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতির পর রাজ্য পরিদর্শনে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার একটি বৈঠকের কথা ছিল কলাইকুন্ডাতে। কিন্তু আগেভাগেই শোনা গিয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকের সময় সেখানে রাজ্যের রাজ্যপাল সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকবেন।

আর এরপরই নবান্নের তরফ থেকে একাংশ দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী শুধুমাত্র একজন বিধায়ক। ফলে মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কেন তাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে! এমনকি সেই ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। তবে বৈঠকের একটি সময়ে মুখ্যসচিবকে সাথে নিয়ে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দিয়ে সেই বৈঠকস্থল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরবর্তীতে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়, শুভেন্দু অধিকারী শুধুমাত্র রাজ্যের বিধায়ক নন। তিনি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাই তাকে সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাতেই পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকে অনুপস্থিতি কার্যত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করতে শুরু করে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সেভাবে উপস্থিত ছিলেন না, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে চিঠি লিখতে গিয়ে তার কিছুটা জবাব দিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্ম জীবনের শেষদিন। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আগেভাগেই জানানো হয়েছিল, আজ তাকে দিল্লিতে উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে রাজ্য কোনোভাবেই ছাড়বে না, তা নিয়ে আজ পাঁচ পাতার একটি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে কড়া জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই চিঠিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্প্রতি দুর্যোগ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে তিনি লেখেন, “আপনি প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের যে পরিবর্তিত কাঠামো আমাদের জানিয়েছিলেন, সেখানে আপনার দলের এক স্থানীয় বিধায়কের নাম ছিল। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের উপস্থিত থাকার কোনো এক্তিয়ার নেই।” স্বাভাবিক ভাবেই এতদিন মনে করা হয়েছিল যে, শুভেন্দু অধিকারী এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং সেই কারণেই তিনি সেভাবে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে থাকেননি।

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার কারণেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা খুব একটা ভালো চোখে মেনে নিতে পারেননি, আজ মুখ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির মধ্যে দিয়ে তা পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই দাবি করছেন পর্যবেক্ষকরা। বলা বাহুল্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেদিক থেকে বিরোধী দলনেতাকে কেন এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি সরকার নেই, সেখানে যদি দুর্যোগ নিয়ে কোনো বৈঠক হয়, কেন সেখানে বিরোধী দলনেতারা উপস্থিত থাকেন না! কেন তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না? এক্ষেত্রে অতীতে এক বছর আগে দুর্যোগের সময় কেন রাজ্যের সেই সময়কার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বা এর পাল্টা জবাব দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

তাদের দাবি, ওড়িশাতে দুর্যোগ-পরবর্তী সময়কালে যখন প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করতে গিয়েছিলেন, তখন সেখানকার বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে এত সব সত্ত্বেও অন্যান্য জেলা পরিদর্শন এবং ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করার কারণে ব্যস্ত থাকার জন্যই হয়ত বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হননি বলে দাবি করেছিলেন একাংশ। কিন্তু আজ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার বিষয়ে আপত্তি তুলতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাতে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হল।

তাহলে শুভেন্দু অধিকারী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় আপত্তির কারণ এবং সেই কারণেই যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই বৈঠকে উপস্থিত হননি, তা এই চিঠির মধ্যে দিয়ে আরও একবার প্রস্ফুটিত হয়ে উঠল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!