প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এ যেন শেষ হয়েও হইল না শেষ আশা করা হয়েছিল এবার হয়তো বিজেপিতে সক্রিয় হবেন শোভন চট্টোপাধ্যায় দিল্লিতে চলা বিজেপির বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি হয়তো নতুন করে তার রাজনৈতিক পথ চলা শুরু করবেন। কিন্তু না, এবার বিজেপির দিল্লির বৈঠকে যাওয়া স্থগিত করে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু হঠাৎ করে এমন কি হল যে, শোভনবাবু দিল্লির বৈঠকে যাচ্ছেন না? অনেকে বলছেন, এর জন্য প্রধানভাবে দায়ী বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্য।

সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায় দিল্লির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা নিয়ে দিলীপবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়ে দেন, এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য উপযুক্ত নন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার কথা ভাবলেও, এবার দিল্লির বৈঠকে যাওয়া থেকে কার্যত নিজেদের বিরত রাখছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

যদিও বা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহলের তরফের শোনা গেছে যে, দিলীপ ঘোষ যে মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈঠকে যোগ দেবেন না, এমনটা নয়। তিনি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে ভাবিত নন। তবে যে যাই বলুন না কেন, অতীতে যখন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন দিলীপ ঘোষ তাদের “ডালভাত” বলে কটাক্ষ করেছিলেন। আর তারপর থেকেই কার্যত অপমানিত হয়ে বিজেপিতে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছিল না শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবীকে। তবে বর্তমানে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়ে দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু আবার দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্য তাদের চূড়ান্ত অপমানিত করেছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতেই যে তারা দিল্লির বৈঠকে যাচ্ছেন না, তা কার্যত পরিষ্কার রাজনৈতিক মহলের কাছে। কিন্তু তাদের তো বৈঠকে ডেকেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব! সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে তারা এত গুরুত্ব দিয়ে, সেখানে যাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন কেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আমন্ত্রণ যে অত্যন্ত আন্তরিক, সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তারা যথেষ্ট সম্মান দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ডেকেছিলেন। তাদের কথাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের কোন নেতা কি বললেন, শুনিনি। সে সব নেতার কথার খুব একটা গুরুত্ব আমাদের কাছে নেই।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তৃণমূল ছেড়ে যারা বিজেপিতে এসেছেন, যারা দিলীপ ঘোষের অনুগামী হয়ে যেতে পেরেছেন, তাদেরকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।

সেদিক থেকে মুকুল রায় বিজেপিতে অপ্রাসঙ্গিক বলে অভিযোগ করছেন একাংশ‌। একইভাবে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ভাবলেও, যেভাবে দিলীপ ঘোষ তাদের অপমানিত করলেন, তাতে তারা রীতিমত ক্ষুব্ধ। সব মিলিয়ে দিলীপ ঘোষের কারণেই যে রীতিমতো বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন তৃণমূল থেকে আসা হেভিওয়েট প্রভাবশালী নেতারা, তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।