এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কি দূরত্ব বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী-মুখ্যসচিবের? লকডাউনে বিমানবন্দর নিয়ে তীব্র গুঞ্জন নবান্নে

এবার কি দূরত্ব বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী-মুখ্যসচিবের? লকডাউনে বিমানবন্দর নিয়ে তীব্র গুঞ্জন নবান্নে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার কারণে রাজ্যের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে রীতিমতো আশংকাজনক। রাজ্যের জেলায় জেলায় যে মারাত্মক হারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা তা রীতিমত চিন্তার ভাঁজ পেলেছে রাজ্য প্রশাসনের কপালে। ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের তালিকা পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে রাজ্য সরকার আবার লকডাউন ফিরিয়ে এনেছে রাজ্যে। যদিও সপ্তাহে মাত্র দু’দিনই কড়া লকডাউন পালন হবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে যেভাবে কড়া লকডাউন চলছে, সেরকমই চলবে বলে খবর। কিন্তু সাপ্তাহিক লকডাউনের প্রথমদিন ঘিরেই শুরু হয়েছে শাসক মহলে বিতর্ক। প্রথম দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে সমস্ত কিছু বন্ধ থাকলেও কলকাতা বিমানবন্দরে রীতিমতো নিয়ম মেনে বিমান ওঠানামা করেছে এবং যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সমস্ত রকম পরিষেবাও পেয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে তোলপাড় নবান্নে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মুখ্য সচিব রাজীব সিংহ কেউই এই উড়ানের ব্যাপারে জানতেন না বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজীব সিংহ বুধবার রাত নটায় ঘোষণা করেছিলেন, বৃহস্পতিবারের লকডাউনে ট্রেন বা প্লেন চালানো যাবেনা। কিন্তু যেভাবে বিমানবন্দরের ঊড়ান চালু ছিল তাতে পরিষ্কার রাজ্য সরকার বিমান চালানোয় ছাড় দিয়েছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল- কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনিক নির্দেশ কিভাবে বদল হলো, তাই নিয়ে মুখর সবাই।

পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও বিমানবন্দরের প্লেন ওঠানামা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে সব মহলেই। সাথে মুখ্য সচিবের ভূমিকা নিয়েও উঠছে কথা। অন্যদিকে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে আপাতত নবান্ন সূত্রে খবর, এবার থেকে লকডাউন এর দুদিন পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে কোন বিমান চলাচল করবে না বলে বিমান চলাচল মন্ত্রকে চিঠি লিখে জানানো হবে। তবে লকডাউনের মধ্যে কি করে বিমান চলাচল করলো তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নবান্নের প্রশাসনিক অন্দরে এই ঘটনাকে অনেকেই বড় করে দেখছেন। অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে জানানো হচ্ছে, বিমান চলাচল এবং বিমান বন্দরের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্য সচিবের কাছে কোন সঠিক তথ্য ছিলনা। কিন্তু সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের শীর্ষ আমলাদের কর্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বুধবার রাতেও মুখ্য সচিব লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন, ট্রেন বা উড়ান পরিষেবা লকডাউনের ছাড়ের মধ্যে পড়ছে না। একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছিলেন সাপ্তাহিক লকডাউনে কোন রকম বিমান চলবে না।

যদিও বুধবারে উড়ান চলাচলের ফলে যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য সরকারি সুবিধাও ছিল এবং তা যথারীতি প্রশংসিত হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে কিভাবে রাজ্যের মাটি থেকে বিমান চলাচল করল? জানা যাচ্ছে, বুধবার বিকেলে প্রথমে রাজ্যের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার লকডাউনের কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হয় উড়ান না চালানোর জন্য। কথামতো, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেকথা উড়ান সংস্থাগুলিকে ইমেইল করে জানায়।

কিন্তু পাল্টা উড়ান সংস্থাগুলি জানায়, শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পাল্টানো সম্ভব নয়। তাই উড়ান তাঁরা চালাবে। আবার সেদিনই রাতে দিল্লি থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে, রাজ্যের সাথে আলোচনা হয়েছে, পরিবহণ পরিষেবা লকডাউনের মধ্যেও রাজ্য দিতে সম্মত হয়েছে। সেক্ষেত্রে মুখ্য সচিব বুধবার রাতে যে কথা বলেছিলেন, আর যে ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার তার মধ্যে থেকে যাচ্ছে বিস্তর ফারাক। রাজ্যের বুকেই এমন ঘটনা ঘটলো যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব দুজনেই অন্ধকারে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি আড়ালে কোন তৃতীয়জন এই ঘটনা ঘটিয়েছেন? কিন্তু সে ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে তা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত লকডাউনের মধ্যে বিমান চলাচলকে কেন্দ্র করে নবান্নের অন্দরে ক্রমশ যে অশান্তির কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে, সে ব্যাপারে একমত সবাই। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, এই ঘটনাকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য সচিবের মধ্যে তাহলে কি বোঝাপড়ার অভাব? আপাতত বৃহস্পতিবার এর ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!