এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মহুয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দলীয় বিধায়ক, অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিলেন মমতাকে

মহুয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দলীয় বিধায়ক, অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিলেন মমতাকে


কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু এরপর কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসেবে তাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব দিলেও দল পরিচালনায় কর্পোরেট সংস্থার ভাষা কেন ব্যাবহৃত করা হচ্ছে? তা নিয়ে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া মৈত্রের চিঠির ভাষায় ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানালেন জেলারই এক তৃনমূল বিধায়ক।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছে। বস্তুত, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের পরই কৃষ্ণনগরে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয় মহুয়াদেবীকে। আর তারপর থেকেই নিজের সাংগঠনিক কর্মসূচি শুরু করে দেন তিনি। কিন্তু সাংগঠনিক কাজ করলেও যেভাবে তাকে এবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেল, তা নিয়ে তুমুল গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, আগস্ট মাসে কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত দলের সব ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতিকে একটি চিঠি লেখেন মহুয়া মৈত্র। আর সেখানেই সেপ্টেম্বর মাসে দুই স্তরে সাংগঠনিক বৈঠকের নির্দেশ দেন তিনি। যেখানে ব্লক কমিটিগুলিকে বলা হয় ১ ও ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যে পঞ্চায়েত প্রধান, বুথ, জেলা পরিষদ ও অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক সারতে হবে। একইভাবে অঞ্চল কমিটিকে ২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর অঞ্চল কমিটির বৈঠক করতে হবে জানিয়ে দেওয়া হয়। আর এই দুই বৈঠকের প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত নথিবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, ইংরেজিতে লেখা এই চিঠির শেষে ‘বাই অর্ডার’ শব্দটি লেখা হয়েছিল। যার নীচে লেখা ছিল, মহুয়া মৈত্রের নাম। আর এই ভাষা নিয়েই ক্ষুব্ধ জেলা দলের নেতারা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই চিঠি নিয়ে জেলা নেতাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকেই। তবে এক পা এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নাকাশিপাড়ার দলীয় বিধায়ক কল্লোল খাঁ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে নাকাশিপাড়ার চারবারের বিধায়ক কল্লোলবাবু লিখেছেন, “যে ভাষায় দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা তৃণমূলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নয়। এটা কর্পোরেট সংস্থার ভাষা। দলনেত্রী হিসেবে মমতা নিজেও কখনও কর্মীদের সঙ্গে এই ভাষায় কথা বলেন না। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আন্তরিকতা থেকেই দল করেন। মহুয়ার পাঠানো চিঠির ভাষায় তাঁরা দুঃখিত ও লজ্জিত।”

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো এই চিঠির কপি পাঠিয়ে দেওয়া জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে জয়লাভ করে কোনোক্রমে তৃণমূলের মুখরক্ষা করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। তবে নির্বাচনের আগে থেকেই তাঁর ব্যবহার নিয়ে অনেকের মনেই ক্ষোভ জন্মেছিল।

এদিন এই ব্যাপারে কল্লোল খা বলেন, ‘‘তৃণমূলকে পরিবার হিসেবেই গড়ে তুলেছেন দলনেত্রী। এইরকম চিঠি সেই পরিবারে বেমানান। নেত্রীকে তা জানিয়েছি।’’ সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে, ততই ঘরে-বাইরে বিপাকে পড়ছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!