এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ‘ই-গভর্নেন্সে’ বাংলা এক নম্বর, মিলল কেন্দ্রের স্বীকৃতি, দেশকে পথ দেখাতে চান মুখ্যমন্ত্রী

‘ই-গভর্নেন্সে’ বাংলা এক নম্বর, মিলল কেন্দ্রের স্বীকৃতি, দেশকে পথ দেখাতে চান মুখ্যমন্ত্রী


নেতাজী‌ ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সমবা‌য় দফতর‌ এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। সেখানে‌ উপস্থিত থেকে মুখ্যমন্ত্রী‌ মমতা‌ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ডিজিটাল‌ ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, কেউ কেউ মুখে ডিজিটাল অর্থনীতির কথা‌ বলে, কিন্তু করতে পারে না। আমরা করে দেখাই, ই-গভর্নেন্সে বাংলা এক নম্বর। আমাদের সঙ্গে ‌মতে মেলে‌না‌ কেন্দ্রের, তবু ওরা এটা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। সম্প্রতি রজ্যে সরকারি দফতরের কাজে নেট নির্ভর ব্যবস্থা শুরু করেছে রাজ্য সরকার, আর সে জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফে পুরস্কারও প্রদান করা হয়েছে। গ্রামের অর্থনীতি‌ মোজবুত করতে সমবায় ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাথে সামগ্রিকভাবে সমবায় ব্যবস্থা ইন্টারনেট নির্ভর করার বার্তা দেন তিনি। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল – যেখানে এখনো কোনও ব্যঙ্কের শাখা তৈরি হয়নি, সেই সব যায়গায় মোবাইল ব্যাঙ্কিং, এটিএম ও সমবায় ব্যঙ্ক খোলার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এছাড়াও‌ সমবায় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে এদিন বেশ কিছু নীতি-নির্দেশিকা প্রকাশ করেন মুখ্যমুন্ত্রী। এখন রাজ্য জুড়ে যে সব সমবায় ব্যঙ্ক আছে, সেখানে অনেকেরই অভিযোগ তার সমবায় সমিতি ও ব্যঙ্ক পরিচালনায় বেশ অস্বচ্ছতা আছে। এরকম যাতে আর না হয় সেই ‌নিয়ে সমবায় ব্যাঙ্কের কর্তাদের কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকার আপনাদের সবরকম সাহায্য করবে, কিন্তু আপনাদেরও নিজেদের দিকে‌ নজর দিতে হবে। এক পয়সাও ‌যাতে এদিক-ওদিক না হয়, কেউ যাতে সমবায়ের টাকা তছনছ না করে তা দেখতে হবে। সমবায় ব্যবস্থাকে মজবুত করতে গেলে গোটা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ করা সবথেকে জরুরি। পাশাপাশি তিনি কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেন, যাকে-তাকে‌ লোন দিয়ে পরে ব্যঙ্ক উঠে যাচ্ছে এমন দোহাই ‌দিয়ে সরকারের কাছে হাত পাতবেন‌‌ না। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নিয়মিত অডিট করুন।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার উচ্চপর্যায়ের একটি‌ কমিটি গঠন করা হবে যারা সমবায় ব্যবস্থার প্রসার সহ কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ও তাঁদের দাবী মেটানোর ‌‌মত ‌বিষয় গুলিতে সহায়তা করবে। ওই‌ কমিটির দেওয়া পথ‌নির্দেশিকায় থাকবে সমবায়ের বর্তমান আমানত ৩০ হাজার কোটি টাকা থেকে‌ কিভাবে ১ লক্ষ কোটি করা যায়। এদিনের সম্মেলনে জেলা থেকে‌ আসা কর্মীদের সংখ্যা ছিল‌ প্রচুর। তাঁদের সবাই‌কে খুশি করে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেন, তাঁদের প্রত্যেককেই রাজ্য সরকার বিনা‌ মুল্যে স্বাস্থ্যবীমা করে দেবে। ফলে এখন থেকে সমবায় ব্যাঙ্কের সকল‌ কর্মী সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বীমা পাবেন। এর সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, একটা লাইনের‌ মধ্যে দিয়ে‌ কো-অপারেটিভ চলবে, আমি চাই বাংলার কো-অপারেটিভ দেশকে পথ দেখাক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!