মুখ্যমন্ত্রীর ‘অনুপ্রেরণায়’ গোটা বাংলায় চলছে তোলাবাজি, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির বিশেষ খবর রাজ্য January 27, 2018 সিউড়ি রোডের আলমপুরের সামনে গাড়ি থামিয়ে সংসদের কাছ থেকে চাঁদা তোলাকে ঘিরে ছড়িয়েছে তীব্র উত্তেজনা। বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানান, বিজেপি সাংসদ তথা দলনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় কদিন আগে দলীয় কাজ সেরে বীরভূম থেকে কলকাতায় ফেরার সময় একদল যুবক তাঁর রাস্তা আটকে তাঁর কাছে ‘উরস উৎসবের’ জন্য চাঁদা চায়, আর সেই ঘটনাকে ঘিরেই শুরু হয় তীব্র বচসা। অভিযোগ কদিন আগে বীরভূম থেকে কলকাতায় যাবার সময় আলমপুরের কাছে গাড়ির লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবার সময় রূপা গাঙ্গুলির গাড়িকে চাপড় মেরে স্থানীয় কিছু যুবক তাঁর কাছ থেকে বালক ভোজনের জন্য টাকা দাবি করে। রূপা গাঙ্গুলি চাঁদার বিল দেখতে চাইলে যুবকেরা কোনো বিল নেই বলে জানায়। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে সাংসদের সঙ্গে রীতিমত ‘খারাপ ও অশালীন’ ব্যবহার শুরু করে তারা বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ।তাদের এই ব্যবহারের প্রতিবাদ করেন রূপা গাঙ্গুলি। রূপা গাঙ্গুলি স্থানীয়দের চাঁদা তোলার ব্যাপারে নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানান, এই বিষয়ে সবাই মুখ খুলতে সাহস পাননা কেননা প্রতিবাদ করলেই শাসকদলের কর্মীদের হাতে ‘হেনস্থার’ শিকার হতে হয়। এই বিষয়ে তিনি গোটা রাজ্য জুড়ে চলা ‘অরাজনৈতিক পরিবেশের’ তীব্র নিন্দা করে বলেন, শাসকদলের নাম নিয়ে সারা রাজ্যে যে তোলাবাজির কারবার শুরু হয়েছে তাতে পুলিশও নিজের মুখে কুলুপ এঁটেছেন। একই সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, আসলে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অনুপ্রেরণায়’ গোটা বাংলা জুড়ে চলছে তোলাবাজির কারবার, একজন সাংসদের সঙ্গে এমন ব্যবহার হলে সাধারণের কি করুন অবস্থা সহজেই অনুমেয়। উল্টোদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা জেলাপরিষদ সদস্য নুরুল হাসান পুরো বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, তৃণমূলের কোনো কর্মী এই ঘটনায় জড়িত নয়, সাংসদ নিজেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। তবে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি এই বিষয়ে জানান, পুরো ঘটনার একটি ভিডিও তুলে তিনি ইতিমধ্যে লালবাজার এবং বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।অন্যদিকে বর্ধমান পুলিশ সুপার কুনাল আগারওয়াল জানান, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত সাংসদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, অভিযোগ দায়ের হলেই পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত শুরু করবে। আপনার মতামত জানান -