এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেককে ডাকলেই হেনস্থা! শুভেন্দুর বেলায় কি? নিজের জালে নিজেই ফাঁসলেন মমতা!

অভিষেককে ডাকলেই হেনস্থা! শুভেন্দুর বেলায় কি? নিজের জালে নিজেই ফাঁসলেন মমতা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-আগামী 13 সেপ্টেম্বর ইডির পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তারপর থেকেই ঘ্যানঘ্যান শুরু হয়ে গিয়েছে যুবরাজের। তাকে কেন ডাকা হল! তিনি ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয়ে কমিটির মিটিং বাদ দিয়ে কেন সেখানে যাবেন? যেন পঞ্জিকা দেখে ইডি তাকে ডাক দেবে, এরকম একটা আশা করেছিলেন তৃণমূলের যুবরাজ। আর এবার ভাইপোর সুরেই সুর মিলিয়ে তার পিসি অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনিও বুঝিয়ে দিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাকি ভীষণ খারাপ ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। যা দেখে বিরোধীরা বলছেন, কারও সঙ্গে খারাপ করলে তার সঙ্গেও খারাপই হয়। যখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধা দেওয়া হয়, দলবদল করার কারণে তাকে একের পর এক মামলার জালে জড়িয়ে ফেলা হয়, তখন তো পিসিমণির মুখ থেকে এই ধরনের শব্দ প্রয়োগ হয় না! তখন তো তার প্রশাসনকে তিনি নিরপেক্ষ হতে বলেন না। তখন কোথায় যায় তার এই ধরনের অভিযোগ?

প্রসঙ্গত, এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে চটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজনীতিতে তো বিরোধিতা থাকতেই পারে। কেউ কারও সঙ্গে জোট করবে, কেউ কারও সঙ্গে জোট করবে না। কিন্তু তার জন্য অভিষেককে বারবার ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে। সে সুবিচার চাওয়ার জন্য কখনও নিম্ন আদালত, কখনও উচ্চ আদালত, কখনও সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পায়নি। কিন্তু তাও তাকে অসুবিধার মুখে ফেলতে এই ধরনের হেনস্থা করা হচ্ছে।”

তবে মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের অভিযোগ কোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে করতেই পারেন। তার হাজারটা অভিযোগ থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসা পরায়নন রাজনীতি করে তার ভাইপোকে এবং তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। কিন্তু একই অভিযোগ কেন শুভেন্দু অধিকারীর বেলায় করেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কেন তিনি নিজের প্রশাসনকে দিয়ে বারবার শুভেন্দু অধিকারীকে বিভিন্ন মামলার জালে জড়িয়ে ফেলতে চাইছেন! কেন এই উত্তর নেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কাছে?

বলা বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন এই অভিযোগ করছেন, সেদিনই তার পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় দেখা যাচ্ছে, তার গাড়িতে নজরদারি করতে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পিডমিটার রাখা হয়েছে। ফলে প্রতি পদে পদে তাকে জব্দ রাখতে যে নবান্ন পুলিশকে কাজে লাগাচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরোধীদের কাছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় সংস্থা হেনস্থা করছে, এ কথা বলে নিজেই নিজের জালে ফেঁসে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে তিনি পুলিশ মন্ত্রী, অথচ সেই রাজ্যেই যখন তখন বিরোধী নেতাদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তুলে নিয়ে আসে। জেলে বসে বিরোধী নেতাদের হুমকি দেওয়া হয়, তাদের নাকি তৃণমূল করতে হবে। ফলে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করে কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন! সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। তাই সমালোচক মহলের প্রশ্ন যে , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকলেই হেনস্থা! আর শুভেন্দু অধিকারীকে যেভাবে নিপীড়ন করে রাজ্য পুলিশ, তার কি হবে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!