এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের কথাই শেষ কথা, নবান্নে বসে প্রমান দিলেন মমতা! গুঞ্জন তৃনমূলে!

অভিষেকের কথাই শেষ কথা, নবান্নে বসে প্রমান দিলেন মমতা! গুঞ্জন তৃনমূলে!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন বিরোধীরা অভিযোগ করতেন, তৃণমূলে একটাই পোস্ট। বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূলে কারওর কথা শোনা হয় না। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের পর এখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমল শাসকদলে শেষ হয়ে এসেছে। শুধু বিরোধীরা নয়, তৃণমূলের মধ্যেও এই আলোচনা চলে। আর এবার নবান্নে বসে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই যে শেষ কথা, তার কথাতে শুধু দল নয়, এখন যে সরকারও চলে, তার প্রমাণ দিয়ে দিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের কেউ না হয়েও যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে রক্ষা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তা দেখে হতবাক প্রশাসনিক মহলও।

প্রসঙ্গত, এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ধুপগুড়িকে মহকুমা করার ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার এই ঘোষণা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কেননা ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সরকারের কেউ না হয়েও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যা নিয়ে বিরোধীরা নির্বাচন চলাকালীন এই প্রতিশ্রুতি আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ বলে কমিশনে অভিযোগ করেছিল। শুধু তাই নয়, সকলের মনে একটাই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছিল যে, সরকারের কেউ না হয়েও কি করে এই ধরনের ঘোষনা করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! তাহলে কি তৃণমূল দলের কথাতেই সরকার চলছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামেই মুখ্যমন্ত্রী? তাকে পেছন থেকে সব বিষয়ে পরিচালনা করছেন তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? নবান্ন থেকে সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট করে দিলেন, তিনি ভাইপোর কথাতেই সব করছেন এবং আগামী দিনেও করবেন।

তবে অনেকেই বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তো মহাকুমা করার ঘোষণা করতেই পারেন। হ্যাঁ অবশ্যই। একশো বার নয়, হাজার বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ঘোষণা নবান্ন থেকে করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার সাথে সাথে বিরোধীরা এই প্রশ্নও তুলছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, তার ভাইপোর গলা থেকেই বেরিয়েছিল এই মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে ধুপগুড়ির ভোটে জিতে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করার কথা জানিয়েছেন। অর্থাৎ ভাইপোই যে তার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, তা আবার স্পষ্ট করলেন তৃণমূল নেত্রী। বুঝিয়ে দিলেন, বিরোধীরা পিসি এবং ভাইপোর কোম্পানি বলে তৃণমূল দলকে যে কায়দায় বিদ্ধ করত, তা সত্যি।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধুপগুড়ি মহকুমার ঘোষনা করতেই তৃণমূলের মধ্যেও কিন্তু একটা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শাসক দলের যে সমস্ত নেতারা এখনও পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নেত্রী হিসেবে মেনে আসছেন, তাদের গদি টলমল করতে শুরু করেছে। তারাও ভাবতে শুরু করেছেন যে, যেভাবে দিদিমণি ভাইপোর প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতিকে পূরন করছেন, তাতে আগামী দিনে শুধু তৃণমূল দলের দায়িত্ব নয়, হয়তো রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের চেয়ারেও বসতে পারেন এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনেও সেইরকম স্বপ্ন রয়েছে। যদিও বা সেই স্বপ্ন কতটা পূরণ হবে, তৃণমূল আদৌ রাজ্যের ক্ষমতায় থাকবে কিনা, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। তবে আজকের খবর এটাই যে, দলীয় হোক বা প্রশাসনিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই শেষ কথা, পরোক্ষে হলেও তা মেনে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!