কবিগুরুর কথা তুলে ধরে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে তুলোধোনা কমিশনের, ব্যাপক চাপে প্রশাসন! রাজ্য July 16, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন রাজ্যপাল থেকে শুরু করে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অভিযোগ করা হলেও, তাতে মান্যতা দেয়নি রাজ্য সরকার। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে মানবাধিকার কমিশনকে এই ব্যাপারে তৎপর হওয়ার কথা বলতেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করে কমিশন। যেখানে কমিশনের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয় রিপোর্ট। আর সেই রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা হয়। আর তা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাপে পড়ে গেল রাজ্য প্রশাসন। যেখানে বাংলার সংস্কৃতির কথা তুলে ধরে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারকে কার্যত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপে পড়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবং প্রশাসন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মুখবন্ধ খামে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আর তারপরেই বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায়, একগুচ্ছ বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রিপোর্টে লেখা রয়েছে, “শাসক দলের কর্মী- সমর্থকরা রাজ্যে যেভাবে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছে, তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা ও তার প্রভাব পড়েছে। শাসকদলের দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে বহু মানুষ এখনও ঘরছাড়া। যৌন অপরাধের শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু তারা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। হিংসার ঘটনায় পুলিশ সরাসরিভাবে যুক্ত না থাকলেও, তাদের গাফিলতিতে অনেক ঘটনা ঘটেছে। হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কোনো প্রশাসনিক কর্তা বা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মুখ দেখা যায়নি। দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের জীবনের অধিকার, বাক স্বাধীনতার মত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলেও, রাজ্য প্রশাসনকে এই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়নি।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শাসকের শাসন চলছে বলেও রাজ্য সরকারকে সেই রিপোর্টের মধ্যে দিয়ে তুলোধনা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা তুলে ধরে বাংলার সংস্কৃতি পরায়ন মাটিতে এই ধরনের ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা অকল্পনীয় বলেও দাবি করতে দেখা গিয়েছে কমিশনের সেই রিপোর্টে। এদিকে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এতদিন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছিল, এদিন নিজেদের জমা দেওয়া রিপোর্টে সেই একই দাবি করতে দেখা যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবার এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে যদি হাইকোর্ট বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে যথেষ্ট চাপে পড়ে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে প্রথম থেকেই মানবাধিকার কমিশন বিজেপির কথা মতো কাজ করছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের। আর এবার তৃণমূল এবং রাজ্য প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়ে যেভাবে হাইকোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ করে মানবাধিকার কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দিল, তা তৃণমূলের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অস্বস্তিকর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মানবধিকার কমিশনে জমা দেওয়া এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কি সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাইকোর্ট, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -