এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা পুলিশের নজরদারি, হাতেনাতে ধরলেন শুভেন্দু! ফেঁসে গেল রাজ্য!

মমতা পুলিশের নজরদারি, হাতেনাতে ধরলেন শুভেন্দু! ফেঁসে গেল রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে সব চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সব কিছুতেই হেরে গিয়ে এখন পুলিশকে কাজে লাগিয়ে কি করে বিরোধী দলনেতাকে জব্দ করা যায়, তার পরিকল্পনা কষা হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও হেরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন এবার রীতিমতো হাতেনাতে পুলিশকে ধরে ফেললেন শুভেন্দু অধিকারী। তার চলাচলের পথে নজর রাখার যে কৌশল করেছিল নবান্ন, তা রীতিমতো ফাঁস হয়ে গেল। প্রমাণ হয়ে গেল, এতদিন বিরোধী দলনেতা পুলিশ দিয়ে তাকে আটকানোর যে অভিযোগ করতেন, তার মধ্যে যথেষ্ট সত্যতা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আজ নিজের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে উত্তর ২৪ পরগনার একটি কর্মসূচির উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মেচেদা এবং কোলাঘাটের মাঝে স্পিড মিটার দিয়ে তার গাড়িতে নজরদারি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর সেই সময় আবার নিজের গাড়ি ঘুরিয়ে মেচেদার দিকে আসেন শুভেন্দুবাবু। যেখানে তিনি লক্ষ্য করেন যে, সেই স্পিড মিটার গোছানোর কাজ করছে পুলিশ। আর তখনই পুলিশ কর্তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও করে তিনি অভিযোগ করেন যে, শুধুমাত্র তার ওপর নজরদারি করতেই এই স্পিড মিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি চলে যাওয়ার কারণে তা গুছিয়ে ফেলার কাজ করা হচ্ছিল। তবে তিনি এবার হাতেনাতে তা ধরে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের মূলে পুলিশকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় এসপি অমরনাথ এবং তৃণমূলের শীর্ষ নেতা রয়েছেন।

বিরোধীদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জব্দ করার নাম শুভেন্দু অধিকারী। তাকে রীতিমতো ভয় পেতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই মামলা দিয়েও যখন কিছু হলো না, তখন তার পথে নজরদারি করার জন্য নিকৃষ্ট পরিকল্পনা এই দলদাস পুলিশের। তবে এটাও হাতেনাতে ধরে ফেললেন শুভেন্দুবাবু। বুঝিয়ে দিলেন, তার সঙ্গে চালাকি করে পার পাবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। কিন্তু কি হবে এতকিছু করে? রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গতিবিধিতেই যদি এই নজরদারি চলে, তাহলে যারা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে এগিয়ে আসবেন, তাদের কন্ঠরোধ করতে আরও কতই না নিকৃষ্ট পথ অবলম্বন করবে রাজ্যের প্রশাসন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই প্রথম নয়। এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী এই স্পিড মিটার নিয়ে একটি অভিযোগ করেছিলেন। আর এবার তিনি চলে যাওয়ার পরেই যেভাবে সেই স্পিড মিটার গোছানোর কাজ চলছিল, তাতে সব বুজরুকি ধরা পড়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের। স্পষ্ট হয়ে গেল, তৃণমূল নেতাদের জন্য আইন এক এবং শুভেন্দু অধিকারীর জন্য আইন আলাদা। শুধুমাত্র তাকে নজরদারির মধ্যে রাখতেই এই জঘন্য পরিকল্পনা নবান্নের। স্বভাবতই এই নজরদারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশকেই যে ফাঁসিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!