এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এক কিস্তিতেই বাজিমাত, শিক্ষা দুর্নীতির রিপোর্টে তৃনমূল বিধায়করা! সিবিআইয়ের ফ্যাসাদে ঘাসফুল!

এক কিস্তিতেই বাজিমাত, শিক্ষা দুর্নীতির রিপোর্টে তৃনমূল বিধায়করা! সিবিআইয়ের ফ্যাসাদে ঘাসফুল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অনেক দিন ধরেই তদন্ত চলছে। কিন্তু মানুষ চাইছেন, এবার সেই তদন্ত শেষ হোক। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক। মানুষের বিশ্বাস ফেরাতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যেই তারা আদালতে জানিয়ে দিয়েছে যে, খুব দ্রুত তারা এই প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। পাশাপাশি এই ঘটনায় জেলে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের যোগ যে রয়েছে, সেই ব্যাপারেও ইঙ্গিত পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এই ব্যাপারে তথ্য পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বিচারপতি বলেন, অবিলম্বে আপনাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ মানুষ আপনাদের উপর ভরসা রেখেছে। তারা জানতে চায় যে, এই দুর্নীতির কি ফয়সালা হলো! আর তারপরেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে আগামীকালই তারা একটা ছোট্ট রিপোর্ট পেশ করবে। কারণ মানুষ অনেক আশা করে রয়েছেন। তাই তারা আদালতে এই রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে। পাশাপাশি প্রাথমিকে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের যে একটা যোগসূত্র ছিল, তাও সেই রিপোর্টে উল্লেখ থাকবে বলে খবর। আর যদি আগামীকালই এই রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং সেখানে গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল বিধায়কদের নাম উল্লেখ থাকে, তাহলে আরও চাপে পড়বে রাজ্যের শাসক দল। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

বিরোধীদের দাবি, দুর্নীতি যে হয়েছে, তা তো স্পষ্ট। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে সবটাই জানতেন, সেটাও মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই দোষীদের এবার সাজা দেওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনেক দিন ধরেই তদন্ত করছে। তবে তাদের এই ঢিলেমি তদন্তের কারণে মানুষ ভরসা হারিয়ে ফেলছে। যে কারণে রিপোর্ট যদি খুব দ্রুত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পেশ করতে না পারে, তাহলে তাদের ভূমিকা নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। তাই এখনও পর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, প্রাথমিকে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে রিপোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের নাম রয়েছে, তাতে কিন্তু চাপ বাড়ছে তৃণমূলের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল সরকারের আমলে দুর্নীতি এত চরম জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষ আর ভরসা রাখতে পারছেন না। চারিদিকে বেকারদের হাহাকার। প্রকৃত চাকরি প্রার্থীরা চাকরি না পেয়ে আন্দোলন করছেন। আর পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলের রাঘববোয়ালরা যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যে রিপোর্ট আদালতে সিবিআই পেশ করতে চলেছে, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ঘুম উড়তে শুরু করবে। শাসকদল এখন বলতেই পারে যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তারা তৃণমূলের প্রতীকেই জিতেছেন। তাই তাদের নাম যদি সিবিআইয়ের সেই দুর্নীতি রিপোর্টে থাকে, তাহলে শাসক দলকে এই দুর্নীতির দায়ের জবাবটাও তৈরি রাখতে হবে। অন্তত তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!