এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল-বিজেপিকে হারানোর স্বপ্নে মশগুল বামেরা একদা লালদুর্গেও সব বুথে কমিটি বানাতে পারবে তো?

তৃণমূল-বিজেপিকে হারানোর স্বপ্নে মশগুল বামেরা একদা লালদুর্গেও সব বুথে কমিটি বানাতে পারবে তো?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে বামফ্রন্টকে। এককালে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাদের সংগঠন শক্তিশালী থাকলেও, যতদিন গিয়েছে ততই তারা অপ্রাসঙ্গিক হতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, বর্তমানে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার কথা ভাবতে হচ্ছে বাম শিবিরকে। তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে যাতে ভালো ফল করা যায়, তার জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা চালাতে শুরু করেছে কাস্তে-হাতুড়ি শিবির।

তবে তৃণমূল এবং বিজেপিকে কুপোকাত করবার জন্য তারা যতই চেষ্টা করুন না কেন, এককালে বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলায় সমস্ত বুথে কি তারা কমিটি গঠন করতে পারবে! এখন তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে। অনেকে বলছেন, গত বেশ কিছু নির্বাচনে সিপিএমের সাংগঠনিক দুর্বলতা সামনে এসেছে। একের পর এক নেতা থেকে কর্মী চলে গেছে শাসকদলে।

স্বাভাবিকভাবেই সিপিএমের ক্রমাগত শক্তি ক্ষয় হতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে সমস্ত বুথে কমিটি গঠন করা আদৌ সম্ভব নয়। আর সিপিএমের পক্ষ থেকে শক্তিশালী লড়াই দেওয়া হবে জানানো হলেও, প্রতি বুথে কমিটি গঠন করা নিয়েই যখন সংশয় তৈরি হচ্ছে, তখন তারা কিভাবে লড়াই করবে! অন্যান্য দলগুলোর পক্ষ থেকে তাদের বুথ কমিটি গঠনের ব্যাপারে কটাক্ষ করা হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। এক্ষেত্রে তাদের পাল্টা দাবি, শাসকদলের বাঁধার জন্য তারা ঠিকমত কমিটি গঠন করতে পারছে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, “জানুয়ারির 1 তারিখের মধ্যে বুথ কমিটি গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে আমরা জেলার সমস্ত বুথে কমিটি গঠন করতে পারিনি। সেই সময়সীমা 15 জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এখনও কাজ শেষ হয়নি। দিল্লিতে কৃষকদের সংগ্রাম, তাকে কেন্দ্র করে অনেক কর্মসূচি চলে এসেছে। সেগুলো করতে গিয়ে সাংগঠনিক কাজে কিছুটা সময় লাগছে। তার ওপর বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূল এবং বিজেপি আমাদের কমিটি গঠন করতে দিচ্ছে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সিপিএমের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে তৃণমূল এবং বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও, তাকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করেছে ঘাসফুল এবং পদ্ম শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সিপিএমের কর্মী নেই বলে তারা কমিটি করতে পারছে না। তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন। এতে আমাদের দোষ কোথায়!”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, “সিপিএম এখন বৃদ্ধদের পার্টি। তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে সিপিএমের কর্মীরা আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপি তাদের কমিটি গঠন করতে দিচ্ছে না, এটা বলা ঠিক নয়। আসলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে গিয়েছে।” আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি সিপিএম নেতৃত্ব ঠিকমত কমিটি গঠন করতে পারছে না! আর তাই দোষ দিতে শুরু করেছে তৃণমূল এবং বিজেপির ঘাড়ে! নাকি সত্যি সত্যিই তাদের কমিটি গঠন করতে গিয়ে এই দুই রাজনৈতিক দলের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে!

অনেকে বলছেন, 2011 সালের পর থেকেই সিপিএম ক্রমাগত রাজ্যে কোণঠাসা হতে শুরু করেছে। সেদিক থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা বললেও, তাদের আগেকার শক্তি আর নেই। তাই বুথ কমিটি গঠন করতে গিয়ে এখন যথেষ্ট বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টিকে। তবে সেই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে এখন সিপিএম কতটা লড়াই দিতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!