এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নিভৃতবাসে যাবেন কে? তীব্র তরজা শুরু দুই হেভিওয়েট নেতার মধ্যে! জল্পনা নদীয়া জুড়ে!

নিভৃতবাসে যাবেন কে? তীব্র তরজা শুরু দুই হেভিওয়েট নেতার মধ্যে! জল্পনা নদীয়া জুড়ে!


করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে যখন সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক তখনই দুই হেভিওয়েট নেতার মধ্যে কোয়ারেন্টাইন যাত্রা নিয়ে বিবাদ চরমে পৌঁছে গেল। পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করার পর কে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাবেন, তা নিয়ে তরজায় জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং নবদ্বীপের পৌরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের বিমানকৃষ্ণ সাহা। যার ফলে এখন নদীয়া জেলার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুই রাজনৈতিক দলের দুই হেভিওয়েট নেতার চর্চা চর্চিত কেন্দ্র হয়ে গিয়েছে।

বস্তুত, গত সোমবার নদীয়ার চরমাজদিয়া ব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্গিল পাড়া বাঁধে, স্থানীয় ক্লাব এবং স্কুলের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং তৃণমূলের বিমান কৃষ্ণ সাহা। এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের অভাব, সুবিধা-অসুবিধা পরিদর্শন করতে যাওয়ার পরেই বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।

কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই চিঠি পাওয়ার পরই তাতে আপত্তি জানান রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, শুধু তিনি নন, নবদ্দীপ পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিমান কৃষ্ণ সাহাও সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গিয়েছেন। ফলে তাকে যদি কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়, তাহলে বিমানবাবুকেও যেতে হবে। আর এতেই শাসক-বিরোধী তরজা চরমে উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে নিজেদের চরম দুর্দশার কথা ওখানে থাকা শ্রমিকরা আমাকে জানিয়েছেন। আমি শাসক দলের ব্যর্থতা জেনে ফেলেছি। আমাকে তো এখন আটকাতেই হবে। তাই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে দিয়ে এই চক্রান্ত করা হয়েছে।” যদিও বা বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃনমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে নবদ্বীপের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা বলেন, “বিমানকৃষ্ণ নবদ্বীপেরই লোক। তাকে কেন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে! জগন্নাথবাবু বাইরে থেকে এখানে এসেছিলেন। তাই তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হয়েছে।”

একইভাবে এই ব্যাপারে মুখ খুলেছেন সেই বিমানকৃষ্ণ সাহা। এদিন তিনি বলেন, “আমাকে কেউ কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেননি। এমন কোনো নোটিশ পাইনি। তাছাড়া আমি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সব জায়গায় গিয়েছি।” তবে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে যে কথাই বলা হোক না কেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা বলার জন্যই যদি বিজেপি সাংসদকে কোয়ারেন্টাইন নিয়ে যেতে হয়, তাহলে কেন তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে যেতে হবে না!

তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। আর এই প্রশ্ন করেই এখন সরব হচ্ছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সব মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে কে যাবেন, আর কে যাবেন না, তা নিয়ে রীতিমত বিবাদে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল এবং বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!