এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনা টিকা নিতে ব্যস্ত জনপ্রতিনিধিরা! “চাচা আপন প্রাণ বাঁচা” কটাক্ষ সর্বত্র!

করোনা টিকা নিতে ব্যস্ত জনপ্রতিনিধিরা! “চাচা আপন প্রাণ বাঁচা” কটাক্ষ সর্বত্র!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সমাজের যে কোনো স্তরের জনপ্রতিনিধিরা যদি মানুষের কথা না ভাবেন, তাহলে জনমানসে যে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠবে, তা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। এমনিতেই বিভিন্ন সময় নানা জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন কাজে বিতর্ক তৈরি হতে দেখা যায়। কিন্তু এবার এতদিন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে মানুষ ভয়ের সঙ্গে দিন কাটালে সেই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বেরোনোর সাথে সাথেই সেই মানুষদের বাদ দিয়ে প্রথম সারিতে সেই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য লাইন দিতে দেখা গেছে হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধিদের। যার ফলে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তৃণমূল থেকে বিজেপি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলছেন, এটা আসলে চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। জনপ্রতিনিধিরা মুখে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেও, তারা যে বাঁচার জন্য মানুষকে পিছনের সারিতে ফেলে দিতে পারেন, তা এই ঘটনাতেই পরিষ্কার বলে দাবি করছেন একাংশ।বলা বাহুল্য, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন যেদিন থেকে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, প্রায় সেদিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের একাধিক বিধায়কের নাম জড়িয়ে পড়েছে।

যেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের বদলে তারাই এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করছেন বলে অভিযোগ উড়তে শুরু করেছিল। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়, যেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথমে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা, সেখানে প্রশাসনের তালিকায় কেন জনপ্রতিনিধিদের নাম উঠে এল! অনেকেই বলতে শুরু করেন, জনপ্রতিনিধিরা তো মানুষের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে তারা একদম শেষে এই ভ্যাকসিন নেবেন, এটাই কাম্য ছিল। কিন্তু যেভাবে বিভিন্ন জেলায় একাধিক বিধায়কের নাম সেই ভ্যাকসিন গ্রহণের তালিকায় উঠে এল, তাতে সেই জনপ্রতিনিধিদের ভাবমূর্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার যে জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের জীবন নিয়ে সবথেকে বেশি চিন্তায় রয়েছে। মুখে তারা নির্বাচনের সময় মানুষের জন্য প্রাণপাত করবেন বলে নানা কথা বললেও, কাজে যে ঠিক উল্টোটা করেন তা প্রমাণ হয়ে গেল বলে দাবি একাংশের। পর্যবেক্ষকদের দাবি, মানুষের মনে জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে এই ঘটনার পর যে যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব তৈরি হবে, তা বলাই যায়। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে প্রতিটা রাজনৈতিক দল একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভ্যাকসিন গ্রহণের ঘটনায় শাসকদলের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের নাম উঠে এসেছে। যার ফলে বিরোধীরা তাকে হাতিয়ার করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে।

বস্তুত, প্রধানমন্ত্রী যেদিন ভ্যাকসিনের কথা ঘোষণা করেন, সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন, প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যারা করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের সময় নিজেদের কথা চিন্তা না করে লড়াই করেছিলেন, তারা এই প্রথম এই ভ্যাকসিন পাবেন। কিন্তু তার মাঝেও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে একাধিক বিধায়কের নাম সেই ভ্যাকসিন গ্রহণের তালিকা দেখা গেছে, তাতে বিতর্ক ক্রমশ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। “মানুষের জীবন চুলোয় যাক, বিধায়করা ভালো থাক” এটাই এখন প্রধান রীতি বলে দাবি করতে শুরু করেছেন একাংশ। সব মিলিয়ে ভাইরাসের টিকা গ্রহণের ঘটনায় বিধায়কদের নাম জড়িয়ে পড়ায় “চাচা আপন প্রাণ বাঁচা” নামক শব্দবন্ধনী যে অত্যন্ত সত্যি হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!