এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বড়সড় সাফল্য এবার পদ্ম শিবিরে! শাসকদলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকেও এবার ধ্বস

বড়সড় সাফল্য এবার পদ্ম শিবিরে! শাসকদলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকেও এবার ধ্বস


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে মাথায় রেখে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সেদিক থেকে এগিয়ে কিন্তু গেরুয়া শিবির। কারণ, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। যা বিধানসভা নির্বাচনের আগে উপচে পড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একুশের বিধানসভার নির্বাচনে দুই মুখ্য প্রতিপক্ষ  হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। বাংলার মসনদ দখল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। আর সেই উদ্দেশ্যেই পদ্ম শিবিরে চলছে জোরদার হিসাব কষা। বরাবরই বিজেপি রাজ্যের হিন্দু ভোটকে লক্ষ্য করে এগোচ্ছে।

অন্যদিকে তৃণমূলের শক্তি কিন্তু সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক। কিন্তু এবার গেরুয়া শিবির সেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকেই থাবা বসালো। সূত্রের খবর, এবার বীরভূমের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকেই বড়োসড়ো ধ্বস নামলো। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কার্যকারিতা নিয়ে। একুশের ভোটের আগে যথারীতি বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি শুরু করেছে যোগদান মেলা। সেক্ষেত্রে মালদহ, বর্ধমান, মন্তেশ্বর ও দুই 24 পরগনায় এই যোগদান মেলা চলছে জোরকদমে। সংখ্যালঘু শক্তি বৃদ্ধিতে বিজেপি কিন্তু নিজেদের সংখ্যালঘু সেল কাজে লাগাচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর বিজেপির সংখ্যালঘু সেল এবার বড়োসড়ো সাফল্য এনে দিল পদ্ম শিবিরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গিয়েছে, বুধবার বীরভূমের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত 200 জন তৃণমূলে যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। বুধবার বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গেরুয়া শিবিরের সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলী হোসেনের নেতৃত্বে এই যোগদান সম্পন্ন হয়। পাশাপাশি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করে হুঁশিয়ারি দেন। কয়েকদিন আগেই নদীয়া থেকেও প্রায় 300 জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান তীব্র অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দলকে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই দলবদলে তাঁদের ভোট ব্যাংকে এই দলবদলে কোনো প্রভাব পড়বে না।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে চির ধরিয়ে বিজেপি কিন্তু বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ফেলে দিল রাজ্যের শাসক দলকে। কারণ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অন্যতম শক্তি রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দেখা যাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতৃত্বকে চাপে ফেলার জন্য বিজেপি সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। অবশ্য রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, গেরুয়া শিবির আক্ষরিক অর্থে বুঝতে পেরেছে রাজ্যের মসনদে বসতে গেলে শুধুমাত্র হিন্দুদের ওপর নির্ভর করলেই চলবে না, পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও নিজেদের দিকে আনতে হবে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিজেপি এবার কফিনের শেষ পেরেক পোঁতার প্রস্তুতি হিসেবে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ফাটল ধরাতে শুরু করল?

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!