এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি সাংসদ-নেতাদের হাতে উদ্বোধন হওয়া পূজাগুলিকে বয়কটের পথে তৃণমূল

বিজেপি সাংসদ-নেতাদের হাতে উদ্বোধন হওয়া পূজাগুলিকে বয়কটের পথে তৃণমূল


বাংলার এবারের শারদউৎসবে তৃণমূল না বিজেপি, কার প্রভাব বেশি থাকে তা নিয়ে প্রথম থেকেই নজর ছিল গোটা রাজনৈতিক মহলের। কেননা বাংলার হৃদয়ের সঙ্গে জড়িত এই দুর্গাপুজোকে যারা নিজেদের বাগে সবথেকে বেশি আনতে পারবে, তারাই বাংলা ও বাঙালির মনিকোঠায় স্থান পাবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু বরাবরই উৎসবকে রাজনীতির রণাঙ্গনে নিয়ে আসা উচিত নয় বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল শাসক-বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলকেই।

কিন্তু মুখে তারা এই দাবি করলেও কাজে যে অনেকটাই ফারাক রয়েছে, তা পুজো উদ্বোধন কর্মসূচিতেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। শারদ উৎসব শুরু হওয়ার আগেই তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সমস্ত তৃণমূল জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, উৎসবের মরসুমে যেন সৌজন্যতা বজায় থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে বিজেপি সাংসদের নাম থাকায় সেই সমস্ত পুজো বয়কট করতে দেখা গেল তৃণমূল নেতৃত্বকে। যা দেখে পুজোয় তৃণমূল “আমরা-ওরার” বিভাজন করছে বলেই দাবি করতে শুরু করল সমালোচক মহল।

জানা যায়, চতুর্থীর দিনেই ফালাকাটা ধুপগুড়ি মোড়ের মুক্তিপাড়া সার্ব্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির উদ্বোধন হয়। যে পুজো উদ্বোধনে নাম ছিল বিজেপি সাংসদ জন বারলার। আর বিজেপি সংসদের নাম থাকাতেই আমন্ত্রিত থেকেও অনুপস্থিত থাকলেন তৃণমূলের নেতারা।অন্যদিকে বৃহস্পতিবার পঞ্চমীর দিনে ফালাকাটা মশলাপট্টি সার্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটির উদ্বোধন মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ফালাকাটা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী শ্রেয়শী পালের হাত ধরে হলেও সেই দুর্গোৎসবে আমন্ত্রিত হিসেবে বিজেপি সাংসদের নাম থাকায় সেখানেও অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতাদের।

আর আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপি সাংসদকে এই দুই পূজায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও এই দুই পুজোরই কার্যকর্তা দুজন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। মুক্তিপাড়া সার্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটির সভাপতি তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক অনিল অধিকারী। অন্যদিকে মশলাপট্টি সার্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটির কর্তা তৃণমূল যুব জেলা সহ সভাপতি শুভব্রত দে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যেখানে তৃণমূলের পদাধিকারীরা নিজেদের ক্লাবের পূজো উদ্বোধনের জন্য খোদ বিজেপি সাংসদের নাম রেখেছে, সেখানে কেন তৃণমূলের নেতারা নিজেদের সতীর্থদের পুজোয় না গিয়ে আমরা-ওরার বিভাজন করলেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মুক্তিপাড়া ক্লাবের সম্পাদক অভিজিৎ রায় এবং মশলাপট্টি ক্লাবের শুভব্রত দে বলেন, “জন বারলা একজন সাংসদ। তিনি কোন দলের সেটা বড় বিষয় নয়। তাই সংসদ সদস্য হিসেবেই তাকে পুজোর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।” তবে ক্লাব উদ্যোক্তারা এই কথা মনে করলেও বিজেপি সাংসদের উদ্বোধন করা পুজোয় আমন্ত্রণ পেয়েও যেভাবে তৃণমূল নেতারা উপস্থিত থাকলেন! তা নিয়ে কিন্তু সৌজন্যতার মাঝে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “গোটা ঘটনাতেই প্রমাণ হয়ে গেল যে তৃণমূলই দুর্গাপুজো নিয়ে রাজনীতি করছে। কেউ আমন্ত্রণ না জানালেও আমি সব পুজোমণ্ডপ ঘুরে দেখব।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে ফালাকাটা ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ বর্মন বলেন, “পুজোতে রাজনীতি প্রশ্নই ওঠে না। দলের কর্মী-সমর্থকদের চাপের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!