প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত কয়েক দিন ধরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় চলছে কয়লা কয়লা পাচার ও গরু পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে এবং শ্যালিকাকে সিবিআই এর নোটিশ পাঠানো নিয়ে। যথারীতি আজ সিবিআইয়ের তরফ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে জেরা করার কথা। কিন্তু সিবিআই পৌঁছানোর আগেই তড়িঘড়ি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দেখা গেল পৌঁছে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলেও তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

তৃণমূল নেত্রী সিবিআই যাবার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে কেন পৌঁছালেন, তা নিয়ে নতুন তত্ত্ব পেশ করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। এদিন তিনি দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের আত্মীয় সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেক্ষেত্রে তিনি সিবিআই পৌঁছানোর আগে যেভাবে অভিষেকের বাড়িতে গিয়েছেন, তাতে সিবিআইয়ের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাপকভাবে এই তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যথারীতি বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘শান্তিনিকেতন’ পৌঁছান। বেরোনোর সময় দেখা যায়, তিনি অভিষেকের মেয়ে কে সঙ্গে করে নিয়ে বেরিয়ে আসছেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনার অন্য রূপ প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়কে জেরা করতে আগেই বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সে সময় রুজিরা বাড়িতে ছিলেন না। এরপর আজ আবারও সেখানে আট সিবিআই আধিকারিক জেরা করতে যান। আর তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, অভিষেকের বাড়িতে সিবিআইয়ের হাজিরার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরার কারণ তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মূলত পাশে থাকার বার্তা দিতেই গিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি। পাশাপাশি তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কথা চলাটা স্বাভাবিক। আপাতত, গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ অনুযায়ী সিবিআইয়ের পৌঁছানোর আগে মুখ্যমন্ত্রীর অভিষেকের বাড়িতে পৌঁছানো এই তদন্তে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা তা লক্ষণীয়। তবে এই ঘটনা তৃণমূল ও বিজেপির তরজার ক্ষেত্রকে যে আরও প্রসারিত করল, সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।