নামেই ঝুলছে সিসিটিভি – রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কাজ করে না পরিবহন সংস্থার বাসে, যাত্রী সুরক্ষায় মিলবে না সমাধান উত্তরবঙ্গ রাজ্য December 9, 2018 নামেই ঝুলছে সিসিটিভি – রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কাজ করে না পরিবহন সংস্থার বাসে, যাত্রী সুরক্ষায় মিলবে না সমাধান। এবার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস গুলিতে চালু করা অত্যাধুনিক ক্যামেরাও অকেজো হওয়ার ঘটনায় খবরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। বেসরকারি এক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, জেএনএনআরইউএম প্রকল্পে এই অত্যাধুনিক বাসগুলির সামনের দিকে চালকের মাথার উপর একটি এবং পেছনের দিকে আসনের উপর একটি ক্যামেরা রয়েছে। এমনকি বাসের বাইরে একদম পেছনের দিকেও একটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আর পুরো বাসের চলাচলের গতিবিধি ধরার জন্যই এই ক্যামেরাতে সমস্ত কিছু অটোমেটিক রেকর্ড হয়। কিন্তু অবশেষে সেই ক্যামেরাগুলোও অকেজো হয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু হঠাৎ এই অত্যাধুনিক ক্যামেরাগুলো অকেজো হওয়ার কারণ কি? সূত্রের খবর, এই জেএনএনআরইউএম প্রকল্পে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগাম মোট 150 টি বাস পেয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠত যে এই বাসগুলির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট সংস্থাকে দিয়ে সেই বাসগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা হত। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর এবার সেই সংস্থাও চলে যাওয়ায় নতুন করে এবং নতুন টেন্ডারের দীর্ঘসূত্রিতায় এখন সেই রক্ষণাবেক্ষণেরই তীব্র অভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, এই বাস খারাপ হওয়ার পেছনে অন্যান্য অনেক কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন নিগমের একাধিক কর্তা। একাংশের মতে, এই জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের বাসগুলো প্রথমে মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে চলাচল করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, রায়গঞ্জ এবং মালদার মধ্যেও চালানো হচ্ছিল। ফলে খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু এত টাকা খরচ করে বাস এবং সাধারণ যাত্রী নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা লাগালেও যেভাবে তা অকেজো হয়ে যেতে শুরু করেছে তাতে সেই রক্ষনাবেক্ষণের ব্যাপারে তারা ঠিক কি ভাবছেন?এদিন এই প্রসঙ্গে এনবিএসটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবল রায় বলেন, “রক্ষণাবেক্ষণের কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো মেরামতির চেষ্টা হচ্ছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে সেই এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী বলেন, “এই বাসগুলো আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। তাই নিয়মিত এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। ক্যামেরাগুলি স্থানীয় মেকারদের দিয়ে মেরামত করার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে।” যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই সংবাদমাধ্যমে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -