এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে কি ব্যাহত হচ্ছে অন্যান্য মারণ রোগের চিকিৎসা? এবার বিশেষ পদক্ষেপ প্রশাসনের

করোনার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে কি ব্যাহত হচ্ছে অন্যান্য মারণ রোগের চিকিৎসা? এবার বিশেষ পদক্ষেপ প্রশাসনের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত এক বছর ধরে করোনার দৌরাত্বে নাজেহাল পৃথিবীবাসী। সম্প্রতি দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। তবে, বর্তমানে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে। দেশের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যেও কমতে শুরু করেছে দৈনিক করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫১৯ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ঘটেছে মোট ৭৮ জনের। এদিকে করোনার মোকাবিলা করতে গিয়ে বেশ কিছু মারণ রোগের চিকিৎসা যথেষ্ট পরিমাণে ব্যাহত হয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকার কারণে বহু রোগের চিকিৎসা যথেষ্টভাবে ব্যাহত হয়েছে। যেমন সুগার, রক্তচাপ, ক্যান্সার, সিওপিডির মতো বহু রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। চিকিৎসকেরা করোনা রোগের চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকার কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে যেমন মানুষকে, তেমনি অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছেনা গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ ও অন্যান্য পরিষেবা। তাই এবার করোনার সংক্রমণ কমে আসার কারণে নন কমিউনিকেবল ডিজিজ এর বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যের জনৈক স্বাস্থ্য আধিকারিক এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, করোনার কারণে দেড় বছর ধরে নন কমিউনিকেবল ডিজিজ বা এনসিডির প্রকল্প একেবারে গতিহীন হয়ে পড়েছে। তিনি আশা করছেন, আগামী মাস থেকেই এই সমস্যার সমাধান হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যাদের বয়স ৩০ বছরের উর্ধ্বে রয়েছে, তাদের এখন থেকে এর আওতাধীন করা হবে। এই সপ্তাহেই রাজ্যের একাধিক জেলা হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও মেডিকেল অফিসারকে পাঠানো হবে। আবার সিওপিডির চিকিৎসার জন্য সপ্তাহে দুদিন করে ক্লিনিক খোলা থাকবে। সুগারের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ঔষধ হাসপাতালে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ থেকেই জেলায় জেলায় এনসিডি ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শহরের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামেও এনসিডি ক্লিনিক খোলা হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এনসিডির ক্ষেত্রে শহরের মানুষ যতটা সচেতন, গ্রামের মানুষ ততটা সচেতন নন। তাই এখন থেকে আশা কর্মীরা গ্রামে যাবেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। দীর্ঘদিন ধরে যা বন্ধ রাখা হয়েছিল করোনা মোকাবিলার কারণে। এনসিডি দ্রুত চালু করতে সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যের রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিসক অনির্বাণ দলুই ও অন্যান্য আধিকারিকদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!