এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আরামবাগে পিটিয়ে- কুপিয়ে খুন বিজেপি সংখ্যালঘু কর্মী! অভিযোগের তীর তৃনমূলের দিকে

আরামবাগে পিটিয়ে- কুপিয়ে খুন বিজেপি সংখ্যালঘু কর্মী! অভিযোগের তীর তৃনমূলের দিকে


 

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের নজির রয়েছে। আরামবাগের 12 নম্বর ওয়ার্ডের কালীপুরের সেইরকম গন্ডগোল চলছিল। কিন্তু মাঝে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে রবিবার সকালে এই এলাকায় একটি চায়ের দোকানে ঢুকে এক বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল।

জানা গেছে, এদিন আমির আলী খান ওরফে লকাইকে কুপিয়ে খুন করা হয়। যে ঘটনায় অভিযোগ ওঠে শেখ আব্বাস আলি, ইয়াকুব আলি, টগরী বিবি এবং ছবি বিবির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই 4 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, ধৃতরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কেন এই খুনের ঘটনা ঘটল!

জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যাবেলা 12 নম্বর ওয়ার্ডের এই কালীপুর মোড়ে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা এবং মারামারি হয়। এদিকে এই ঘটনার পরদিন সকাল ছটা নাগাদ কালিপুর মোড়ে নিহত বিজেপি কর্মী লকাই তার দলের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থকের সঙ্গে চা খেতে গিয়েছিলেন। আর সেই সময়ই তৃণমূলের লোকেরা তার উপর লাঠি, রড দিয়ে আঘাত করে এবং সেখানেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।

পরবর্তীতে লকাইকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আর এই ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ বারিকের নেতৃত্বে খুন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। কালিপুর মোড়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অবরোধও হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে নিহত বিজেপি কর্মী আমির আলি খানের মা আঙ্গুরা বিবি বলেন, “চাইছিলাম না ছেলে রাজনীতি করুক। ও শোনেনি। বিজেপি করার জন্য তৃণমূলের ছেলেরা ওকে বারবার ঘরে-বাইরে শাসিয়েছে। ওর ছোট চায়ের দোকানেও হামলা চালিয়েছে। আজ মেরেই ফেলল।”

একইভাবে নিহত বিজেপি কর্মীর বাবা জাফর আলি খান বলেন, “তৃণমূল ছাড়া অন্য দলকে পছন্দ করার অধিকার নেই! ওয়ার্ডের চেনা ওয়ার্ডের ছেলেদের হাতেই ছেলে খুন হবে, সত্যিই তা ভাবিনি।” এদিকে এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা বিজেপির নেতা বিমানবাবু বলেন, “পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ চৌধুরী সম্প্রতি তৃণমূলে সক্রিয় হয়ে এই খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন।” অন্যদিকে তিনি খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজেশবাবুও।

পাশাপাশি বিজেপি এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তুললেও এই ব্যাপারে মুখ খুলে নিজেদের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, “পাড়াগত ঝামেলায় এই খুনে বিজেপি অন্যায় ভাবে রাজনীতির রং লাগিয়ে বিশৃঙ্খলা করছে। প্রশাসন বিষয়টা দেখছে। রাজনৈতিক ভাবে আমরা বিজেপির এই গুন্ডাগিরির মোকাবিলা করব।”

তবে তৃণমূল সভাপতি যাই বলুক না কেন, এই ঘটনায় যেভাবে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে, তাতে আরামবাগ ভবিষ্যতে তৃণমূলকে অনেকটাই চাপে রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!