এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পশ্চিমবঙ্গে ঠিকঠাক লকডাউন মানা হচ্ছে না? রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের! জবাব দিলেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গে ঠিকঠাক লকডাউন মানা হচ্ছে না? রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের! জবাব দিলেন মমতা

করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউন একমাত্র উপায়। ইতিমধ্যেই টানা 21 দিনের লকডাউন চলছে গোটা দেশজুড়ে। কষ্ট হলেও সাধারন মানুষ চেষ্টা করছেন, যতটা সম্ভব কম বাইরে বেরোনো যায়। তবে সাধারণ মানুষের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা চালু রাখার কথা ঘোষণা করেছে সব সরকার। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে মানা হলেও, ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ।

প্রথমদিকে এই লকডাউন ভঙ্গের জন্য পুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিলেও, যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রশাসনের গা ঢিলেমি মনোভাব সামনে আসতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। মিষ্টির দোকান থেকে ফুলের বাজার খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে যে ঠিকমত লকডাউন মানা হচ্ছে না, তা নিয়ে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে পাঠানো সেই চিঠি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই রাজ্য সরকার কেন এই লকডাউনকে সফল করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন‌। যার জেরে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য প্রশাসন। তবে অস্বস্তি যাতে বেশিক্ষণ না থাকে, তার জন্য এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো সেই চিঠিকে “সাম্প্রদায়িক ইঙ্গিতপূর্ণ” বলে আখ্যা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন এমন কথা বললেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? সূত্রের খবর, এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যতটা বাড়িয়ে বলছেন চিঠিতে ওরকম কিছু নেই। তবে হ্যাঁ, কয়েকটা জায়গার ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। আর আপনারা তো জানেনই যে, কেন্দ্র কোথায় কোথায় বেশি নজর রাখার কথা বলতে পারে। আমাদের অগ্রাধিকার হল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা। লকডাউনের শর্ত রাজ্যে কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, “কিন্তু তা করা হচ্ছে মানবিক মুখ দিয়ে। আমি পুলিশকে বলেছি, করাকরি করুন, কিন্তু বাড়াবাড়ি করবেন না। সাধারণ মানুষের সুবিধা, অসুবিধার কথা বুঝতে হবে। নইলে যন্ত্রের মত লকডাউন করলে বহু মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন।” তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বললেও বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে লকডাউনের ক্ষেত্রে কোনো রকম দুর্বলতা বরদাস্ত করা যায় না।

কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে গিয়ে যদি একের পর এক বাজার খোলা হয়, তাহলে তো সামাজিক দূরত্ব যেমন বিঘ্নিত হবে, ঠিক তেমনই বাড়বে করোনা সংক্রমণ। আর এই ব্যাপারটি তুলে ধরে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা কথা লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যকে চিঠি পাঠানোয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পাল্টা জবাব দেওয়ায় – করোনা পরিস্থিতিতেও কি রাজনৈতিক লড়াই জারি থাকল? সাধারনের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে – এই প্রশ্নটাই এখন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!