এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা! চীনের হামলায় শহীদ ২০ ভারতীয় জওয়ান, পাল্টা মারে লাল ফৌজে হতাহত ৪৩

সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা! চীনের হামলায় শহীদ ২০ ভারতীয় জওয়ান, পাল্টা মারে লাল ফৌজে হতাহত ৪৩


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসকে নিয়ে এমনিতেই চিন্তিত ভারতবর্ষ। আর তার মাঝে দীর্ঘ 45 বছর পর ভারত-চীন সীমান্তে সংঘর্ষ বাধল। যাতে মৃত্যু হল প্রায় কুড়ি জন ভারতীয় সেনার। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রাথমিকভাবে এক কর্ণেল সহ তিন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর কথা জানানো হলেও, পরবর্তীতে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রদান করা হয়। যেখানে জানানো হয়, গুরুতর আহত আরও 17 জন সেনা ঠান্ডার কারণে মারা গিয়েছেন।

অন্যদিকে এই সংঘর্ষে আহত ভারতীয় সেনার সংখ্যা 43 বলে দাবি করা হয়েছে। একাংশ বলেছেন, ভারত ও চীনের এই সংঘর্ষে কোনো গুলির দাপট দেখা যায়নি। রড এবং পাথরের সাহায্য নিয়ে দুই দেশের সেনারা লড়াই করেছে। কিন্তু সামান্য রড এবং পাথর দিয়ে এই লড়াইয়ে এত লোকের মৃত্যু কি করে সম্ভব, তা নিয়ে এখন নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে চিনতে কাটগড়ায় তুলে দাবি করা হয়েছে, চীন যদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মানত, তাহলে এই পরিস্থিতি আজ হত না।

এদিন এই প্রসঙ্গে দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “ভারতের যাবতীয় তৎপরতার সবটাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে তার নিজের এলাকায়। আমরা চীনের কাছ থেকেও সেটাই প্রত্যাশা করি। কিন্তু চীন তা লংঘন করেছে।” তবে চীনের পক্ষ থেকে অবশ্য এই ব্যাপারে ভারতকে দোষারোপ করা হয়েছে‌।

সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে গ্লোবাল টাইমস চিনা সেনাকে উদ্ধৃত করে জানিয়ে দিয়েছে, “ভারতীয় সেনা জওয়ান উপত্যকায় ফের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে চিনা ভূ-খন্ডে প্রবেশ করে বহু ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ভারতের ঔদ্ধত্য এবং বেপরোয়া মনোভাব চীন-ভারত সীমান্তে লাগাতার উত্তেজনার জন্য দায়ী। চীন সংঘাত তৈরি করে না, করবেও না। কিন্তু তারা সংঘাতকে ভয়ও পায় না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। আশা করা হয়েছিল, এরপর হয়ত দু’দেশের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু তারপরেও যেভাবে এই সংঘর্ষ হতে দেখা গেল, তাতে কেন্দ্রের সরকারের কূটনীতি ব্যাপক প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছে একাংশ। ইতিমধ্যেই চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ভারতকে এই ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।

এদিন তিনি বলেন, “আজকের ঘটনার পরে আমরা খুবই কড়া ভাবে জানাচ্ছি, ভারত যেন সংশ্লিষ্ট চুক্তিগুলো মেনে চলে। তাদের সেনাদের সংযুক্ত হতে বলে। তারা যেন সীমান্ত পার না হয়।” অর্থাৎ সংঘর্ষের পর ভারতের কুড়ি জন জওয়ানের প্রাণ চলে গেলেও, সেই সংঘর্ষ কতটা থামবে, তা এখন বড় প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।

একের পর এক যেভাবে জওয়ানদের মৃত্যু ঘটল দুই দেশের সংঘর্ষে, তাতে ভারতের কপালে ব্যাপক আশঙ্কার মেঘ দেখা দিতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে এবার চীন-ভারত সংঘর্ষে ভারতের প্রচুর সেনার মৃত্যু এবং আক্রান্তের পর পরিস্থিতি কতটা আয়ত্তে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!