এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন লকেট চ্যাটার্জি! সৌজন্যে তৃণমূল! জানুন বিস্তারিত

করোনা আবহেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন লকেট চ্যাটার্জি! সৌজন্যে তৃণমূল! জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভার মসনদ দখলের লড়াইতে এখন প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নিজেদের সংগঠনকে আরো মজবুত করার পথে এগিয়ে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে, নিজেদের সংগঠনকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তৈরি করছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সংগঠন দৃঢ় হবার নমুনা পাওয়া গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। বিজেপি শিবির ঘাঁটি গড়ে সেখানে। যদিও তার আগে হুগলি জেলায় তৃণমূলের রমরমা রাজনৈতিক বাজার ছিল বলে মনে করা হয়।

কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে এই ছবিটা পুরো পাল্টে যায়। তবে লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরেই তৃণমূল সুপ্রিমো হুগলী জেলাতে দলীয় কর্মীদের তৎপর থাকায় নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। সাধারণ মানুষের সমস্ত সমস্যায় পাশে থাকার জন্য তিনি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন বলে খবর। আর তারপর থেকেই ধীরে ধীরে আবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে হুগলি জেলায়। এবং তলায় তলায় তাঁরা বিজেপি গড়ে ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলে ভাঙন ধরাতেও শুরু করেছে।

সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে এরকমই একটি খবর। লোকসভা নির্বাচনে হুগলি জেলার বলাগড়ে সবথেকে বেশি আসন পায় বিজেপি। কিন্তু এবার সেই বলাগড় বিধানসভায় ঘটে গেল পালাবদল। সূত্রের খবর, সোমবার গুপ্তিপাড়া, সোমরা বাজার, বলাগড় এলাকার প্রায় 370 জন কর্মী বিজেপি এবং অন্যান্য দল থেকে তৃণমূল শিবিরে এসে যোগ দিলেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে হুগলি জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাম্প্রতিককালে বিজেপি যেভাবে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে কিংবা ধর্মের ভেদাভেদ চালাচ্ছে, জনবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তা থেকে বীতশ্রদ্ধ হয়ে বেশ কিছু কর্মী ঘাসফুল শিবিরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে যোগ দিলেন। শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, 180 জন বিজেপি কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রত্যেকের হাতেই দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে এই ঘটনা বিজেপি শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, হুগলি জেলা লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলেই মনে করা হচ্ছিল। হুগলি থেকেই সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার লকেটের এলাকাতে যেভাবে ইন্দ্র পতন ঘটছে বিজেপির, তা কিন্তু যথেষ্ট চিন্তার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যেভাবে তৃণমূল শিবির একে একে ফাটল ধরাচ্ছছ বিজেপির রাজনৈতিক সংগঠনে, তাতে কিন্তু আগামী দিনে গেরুয়া শিবিরের আকাশে বজ্রপাত হতে পারে বলে দাবী তাঁদের। তাই আগামীদিনের মসনদ দখলের লড়াই এর সাথে অবশ্যই দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত আছে কিনা তা দেখা একান্ত দায়িত্ব বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!