বড় পরিবর্তন শাসকদলের কলেজ-শিক্ষক সংগঠনে, আশু বিদ্রোহের সূচনা কি হয়ে গেল? রাজ্য September 8, 2018 দীর্ঘদিন ধরেই জলঘোলা চলছিল। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোলাজল পরিস্কার করতে উদ্যোগী হল শাসকদল। সূত্রের খবর, প্রায় 6 মাস আগে শাসকদলের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ওয়েবকুপার কমিটি ভেঙে দেয় তৃনমূলের শীর্ষনেতৃত্ব। জানা যায়, তৎকালীন এই সংগঠনের সভাপতি কৃষ্নকলি বসুর সাথে সংগঠনেরই সাধারন সম্পাদক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাদে অতিষ্ট হয়ে এই কমিটি ভাঙা হয়। এবার সেই কমিটি নতুন করে গড়ল শাসকদল। কিন্তু নতুন এই কমিটিতে সভাপতি হিসাবে সেই কৃষ্নকলি বসুর ওপরই আস্থা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে 65 জনের এই কমিটিতে জায়গাই হল না একদা এই শাসকদলের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের একদা সাধারন সম্পাদক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে গত বৃহস্পতিবার 130 জনকে নিয়ে ওয়েবকূপার এই সভায় তৃনমূলের শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কৃষ্নকলি বসুই ফের স্থায়ী সভাপতির দ্বায়িত্ব পাচ্ছেন।” কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে এইভাবে ছেঁটে ফেলার কারন কি? একাংশের মতে, কলেজ শিক্ষিকা বৈশাখীর সাথে দীর্ঘ রাজনৈতিক সহকর্মী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভালোভাবে গ্রহন করতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এদিন কমিটি থেকে সেই বৈশাখীকেই বাদ দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেই বার্তা দিলেন তৃনমূল নেত্রী। তবে তাঁর নাম বাদ পড়ায় এদিন সেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত 8 মার্চ যে বৈশাখী নিধন যজ্ঞ শুরু হয়েছিল সেটি 6 সেপ্টেম্বর সমাপন হল।” পাশাপাশি মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা আরও বলেন, “এত দিন তৃনমূলের সাথে আমার সম্পর্ক থাকলেও গত বৃহস্পতিবার তাতে যবনিকা পড়েছে। আর এরপরেও যদি কেউ আমার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলে তাহলে তাঁদেরকে যেভাবে জবাব দেওয়া উচিত সেভাবেই দেব।” সব মিলিয়ে এখন শাসকদলের কলেজ শিক্ষক সংগঠনে বৈশাখী নয়, বসলেন সেই কৃষ্নকলি বসুই। আপনার মতামত জানান -